ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ক্রিকেট মাঠে ‘লাল কার্ড’ দেখে ইতিহাসে সুনীল নারিন

ক্রিকেট মাঠে ‘লাল কার্ড’ দেখে ইতিহাসে সুনীল নারিন

ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও লাল কার্ড, রেফারির মতো কঠোর চেহারায় আম্পায়ার। ক্রিকেটে এমন চমকপ্রদ নিয়ম নিয়ে আসছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। এবার মাঠে তার প্রয়োগও দেখা গেল। চলতি বছরেই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে শাস্তি হিসেবে লাল কার্ড দেখানোর নিয়ম চালু হয়েছে। তবে টুর্নামেন্টের প্রথম ১১টি ম্যাচে একবারও আম্পায়ারদের লাল কার্ড ব্যবহার করতে হয়নি। লিগের ১২ নম্বর ম্যাচে এসে প্রথমবার পকেট থেকে লাল কার্ড বের করতে হলো আম্পায়ারকে। বিব্রতকর এক ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেললেন সুনিল নারিন। তবে এর আগেও ক্রিকেটে লাল-কার্ডের নিয়ম ব্যবহার করা হয়েছে। ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র লাল কার্ডের সাক্ষী কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ‘আন্ডার আর্ম’ ডেলিভারির কারণে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার বিলি বাউডেন। তবে নিছক মজার ছলে সেবার লাল কার্ড দেখালেও এবারে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘লাল কার্ডের’ প্রচলন আসতে যাচ্ছে ক্রিকেটে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) এবার স্থায়ীভাবেই এর ব্যবহারের ঘোষণা দেয়া হয়। এর প্রথম শিকার হয়েছেন নারিন। সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ ওভারে বল গড়ানোর আগেই তাকে লাল-কার্ড দেখান আম্পায়ার। তবে শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচটি নাইট রাইডার্সই জিতেছে। ১৭৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের ১৭ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে তারা। নিয়ম অনুযায়ী, অধিনায়কের পছন্দে তাকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়। এ কারণে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে বাকিটা সময় খেলতে হয় ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের। যদিও এই সিদ্ধান্তের পর ক্ষোভ ঝেড়েছেন নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। ম্যাচ শেষে তার মন্তব্য, সত্যি বলতে এটি (ওভার রেটপেনাল্টি) দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের কঠোর পরিশ্রমকে বিসর্জন দিয়ে দেয়া হয়। আমরা মোহরের মতো এবং আমাদের যাই বলা হবে, সেটি করতেই আমরা বাধ্য। যদি আপনি এই ধরণের টুর্নামেন্টে ৪০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের জন্য জরিমানা করেন, তাহলে সেটি হাস্যকর ব্যাপার। এর আগে, গত ১২ আগস্ট এক বিবৃতিতে লাল কার্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিপিএল কর্তৃপক্ষ। সে সময় জানানো হয়, কঠোরভাবে এই নিয়ম অনুসরণ করা হবে। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দেয়া হয়, কত মিনিটের ভেতর শেষ করতে হবে খেলা। নিয়ম অনুযায়ী, একটি ইনিংসের শেষ করতে হবে ৮৫ মিনিটের ভেতর। যদি এই সময়ের ভেতর শেষ করা না যায়, তাহলেই শাস্তির আওতায় আনা হবে বোলিং করা দলকে। এ ছাড়া ১৭ ওভার শেষ করতে হবে ৭২ মিনিটের মধ্যে। ১৮তম ওভার ৭৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ড আর ১৯তম ওভার শেষ করতে হবে ৮০ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ভেতর। ১৭ ওভার পর্যন্ত কিছুটা বিলম্ব হলে সেটি ক্ষমার আওতায় থাকবে। শাস্তির বিধান শুরু হবে ১৮তম ওভারেও অনিয়মের দেখা মিললে। ১৮তম ওভারের শুরুতে সময় বেশি লাগলে শাস্তি হিসেবে পাওয়ার প্লে চললেও একজন বাড়তি ফিল্ডার ৩০ গজ বৃত্তের ভেতরে রাখতে হবে। ১৯তম ওভারের শুরুতেও যদি সময় বেশি লাগে, তাহলে দুজন বাড়তি ফিল্ডার (মোট ৬ জন) রাখতে হবে বৃত্তের ভেতরে। যদি শেষ ওভারে গিয়েও দেখা যায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লেগেছে, তাহলে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাহিরে চলে যেতে হবে একজন ফিল্ডারকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত