ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টেবিল টেনিস ফেডারেশনে হঠাৎ অস্থিরতা!

টেবিল টেনিস ফেডারেশনে হঠাৎ অস্থিরতা!

এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গত শুক্রবার টেবিল টেনিস দল যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। তার আগেই সংবাদ সম্মেলন করে স্বজন প্রীতির অভিযোগ তুললেন দলে সুযোগ না পাওয়া জাভেদ আহমেদ। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) টিটি খেলোয়াড় সমিতির ব্যানারে রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করলেন ক’জন খেলোয়াড়। তাদের অভিযোগের তীর টিটি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খন্দকার হাসান মুনীরের দিকে। যুক্তি দেখিয়ে প্রতি উত্তর দিলেন হাসান মুনীরও। হঠাৎ যেন অস্থির হয়ে উঠল টেবিল টেনিস। জাভেদ আহমেদের কথায়, ‘র‍্যাংকিং অনুযায়ী এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দল গঠনের কথা থাকলেও আমাকে বাদ দেয়া হয়েছে। র‍্যাংকিংয়ে আমি ৪ নম্বরে থাকলেও দলের সঙ্গে যাওয়া চারজনের মধ্যে আমার জায়গা হয়নি। এটা হাসান মুনীরের স্বজনপ্রীতির নমুনা। এছাড়া তিনি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ঠিক মতো দেন না, ফিকশ্চারে নিজের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করেন। শুধু তাই নয়, খেলোয়াড়দের মধ্যে বিভাজনও তৈরি করেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘হাসান মুনীর টেবিল টেনিসের জন্য একটি অভিশাপ, ফেডারেশনকে পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে রেখেছেন। আমরা তাকে আর ফেডারেশনে দেখতে চাই না।’ আরেক খেলোয়াড় অন্তু হাসান জয় বলেন. ‘গত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সময় একটি ম্যাচ হারায় আমাকে থাপ্পড় মেরেছিলেন হাসান মুনীর, যা একজন কর্মকর্তার জন্য শোভনীয় নয়।’ তবে সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিপন খান উপস্থিত হলেও ছিলেন না সভাপতি মানস চৌধুরী। এমন অভিযোগের বিষয়ে হাসান মুনীরের বক্তব্য, ‘১৯৯১ সালে একই টুর্নামেন্টে সিনিয়র সাইদুল হক সাদী ও নাসিমুল হাসান কচিদের সঙ্গে গিয়েছিলেন জুনিয়র সেরা মানস চৌধুরী। ২০২১ সালেও এই টুর্নামেন্টে পুরুষ ও মেয়ে দুই বিভাগেই র‍্যাংকিংধারী তিনজনের সঙ্গে একজন জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন গিয়েছেন। সেই থেকে নিয়ম করা হয়েছে। তাই এবারও শেখ কামাল জাতীয় যুব গেমসে চ্যাম্পিয়ন নাফিস ইকবাল ও খৈ খৈ সাই মারমাকে পাঠানো হচ্ছে। যা নির্বাহী কমিটি অনুমোদিত।’ তিনি যোগ করেন, ‘আসলে ২০০৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত আমার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালই ছিল। কিন্তু যখনই নিয়মের বেড়াজালে পড়ে গেলেন তারা, তখনই আমি তাদের কাছে খারাপ হয়ে গেলাম।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত