বাণিজ্যিক একাডেমি চালু করছে বাফুফে

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

দুই বছর আগে চালু হয়েছিল বাফুফের এলিট ফুটবল একাডেমি। গত শনিবার একাডেমির ১০ ফুটবলারকে নিলামের মাধ্যমে পাঁচ ক্লাবের কাছে বিক্রি করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একাডেমিতে থাকা ৬০ ফুটবলার ও কোচিং স্টাফসহ সবার থাকাণ্ডখাওয়ার সব খরচ বহন করে বাফুফে। এই একাডেমি চালাতে গিয়ে আর্থিক সংকটের কথা বেশ কয়েকবার বলেছিলেন বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। তাই এবার কমার্শিয়াল একাডেমি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ‘ফুটবল ফর হেলথ’ স্লোগানে ডেভেলপমেন্ট কমিটির অধীনে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বাফুফের ফুটবল একাডেমির যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ফেডারেশন। ফুটবল একাডেমি করার দায়িত্ব ক্লাবগুলোর। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হাতেগোনা কয়েকটি ক্লাব ছাড়া আর কারো নিজস্ব একাডেমি নেই। ঢাকা শহরে অবশ্য কমার্শিয়াল অনেক একাডেমি আছে, যারা টাকার বিনিময়ে ফুটবলের প্রতি আগ্রহী ছেলেমেয়েদের ভর্তি করান। এমনকি ট্রেনিংয়ের জন্য মাসিক বেতনও ধরা হয়। বাফুফের নতুন এই একাডেমিও সে রকমই। কত বয়সী ছেলেরা খেলতে হবে, তা নির্ধারণ করেছে ফেডারেশন। মোট ৮০ জনকে নিয়ে শুরু হবে বাফুফের এই নতুন একাডেমি। ৮-১১ বছর বয়সী ৪০ ও ১১-১৪ বছর বয়সী ৪০ জন ভর্তি হয়ে ট্রেনিং নিতে পারবে। দেশি কোচদের অধীনে এই ৮০ জন ট্রেনিং করবে কমলাপুর স্টেডিয়াম এবং বাফুফের টার্ফে। যেহেতু মতিঝিলে আরামবাগ ফুটবল একাডেমি আছে, সেহেতু বাফুফের এই একাডেমিতে ভর্তি হওয়া ছেলেরা ট্রেনিং করতে পারবে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার। নতুন এই একাডেমিতে ভর্তি হতে হলে ফুটবলের কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই বলে সমকালকে জানান বাফুফে সহ-সভাপতি মানিক, অভিভাবকরা চাইলে তাদের ছেলেদের এই একাডেমিতে ভর্তি করাতে পারেন। এটা অনাবাসিক একাডেমি। অভিভাবকরাই তাদের সন্তারদের ট্রেনিংয়ে নিয়ে আসবেন, আবার নিয়ে যাবেন। বাফুফের নতুন এই একাডেমিতে ভর্তি হতে দিতে হবে ২ হাজার টাকা। ভর্তি হওয়ার পর মাসিক বেতন ৩ হাজার টাকা। ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে ভর্তি কার্যক্রম। ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শুধু জার্সি প্রদান করা হবে। কমার্শিয়াল এই একাডেমিতে কোচদের নজরে পড়বে যারা, তাদের এলিট একাডেমিতে নেয়া হবে। এখান থেকে যে টাকা আসবে, তা দিয়ে ট্রেনারদের বেতন দেয়া হবে। আশা করি, এই একাডেমি থেকে বেশ কয়েকজনকে আমরা পাব। তাদের আমাদের এলিট একাডেমিতে নেবু বলেন মানিক।