এবার জাতীয় দলের কোচ নিয়োগে সৌদির চমক!

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে শুরুতে এক গোলের পিছিয়ে পড়েও শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেয় সৌদি আরব। বিশ্বকাপ শেষে সেই চমক অব্যাহত রাখে সৌদি ফুটবলের কর্তারা। প্রথমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দলে টানে সৌদি লিগ। আর এবার একের পর এক বড় তারকাদের দলে ভেড়ায় দেশটির ক্লাবগুলো। এবার জাতীয় দলের কোচ নির্বাচনেও চমক দেখাল সৌদি ফুটবল। সদ্য ইতালির প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়া রর্বাতো মানচিনিকে নিয়োগ দিয়েছেন তারা। এখন থেকে সৌদি আরব জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ইতালিয়ান গণমাধ্যমের দাবি, ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি করেছেন ৫৮ বছর বয়সি এই কোচ। তাকে বছরে আড়াই কোটি ইউরো বেতন দেবে সৌদি আরব। এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে জায়গা করতে ব্যর্থ হওয়ায় মানচিনিকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয় ইতালি। তার অধীনে ২০২০ ইউরোর শিরোপা জেতে আজ্জুরিরা। এছাড়া টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার বিশ্ব রেকর্ডও গড়ে ইতালি। তবে ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পার হতে না পারলেও ২০২৬ পর্যন্ত তাকেই কোচ হিসেবে রাখতে চেয়েছিল ইতালি ফুটবল ফেডারেশন। এমনকি জাতীয় দলের পাশাপাশি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২১ দলের সমন্বয়ক। কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিন পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন মানচিনি। এরপর রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশন জানায়, মানচিনি যুক্ত হচ্ছেন তাদের সঙ্গে। এরপর নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করেন ইতালিয়ান এই কোচ। ইতালিয়ান গণমাধ্যমের দাবি ৪ বছরের চুক্তিতে বছরে কর ছাড়াই আড়াই কোটি ইউরো করে আয় করবেন মানচিনি। বর্তমানে সৌদিতে আছেন তিনি। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের ডাগ আউটে দাঁড়াবেন তিনি। ইউরোপীয় দল কোস্টারিকার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে সৌদিতে শুরু হবে তার অধ্যায়। ম্যাচটি হবে সৌদি আরবের মালিকানাধীন ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে। একই মাঠে চার দিন পর মানচিনির দলের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। সৌদি আরব ও ইতালি জাতীয় দলের আগে ইতালির ক্লাব ফিওরেন্তিনা, লাৎসিও, ইন্টার মিলান এবং ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটির কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১২ সালে মানচিনির অধীনে প্রথম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতে সিটিজেনরা।