ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ওপেনিংয়ে নেমেই সেঞ্চুরি উপহার মিরাজের

ওপেনিংয়ে নেমেই সেঞ্চুরি উপহার মিরাজের

বাংলাদেশ দলের সদ্য সাবেক হওয়া ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, দলের সবাই যখন হাল ছেড়ে দেয়, তখনো জয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকে মেহেদি হাসান মিরাজ। এর আগেও চাপের মুখে দলকে সামলে রেখেছেন তিনি। এবার এশিয়া কাপের মঞ্চে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার। গতকাল রোববার পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান মিরাজ। আর উপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েই মিরাজ পেয়েছেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরির দেখা। ব্যাট হাতে শুরুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে খোলস থেকে বের করে এনেছেন এই মেক শিফট ওপেনার। ৩ অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে খেলেছেন ১১৫ বল। ওয়ানডে কারিয়ারে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চের মাইলফলকও স্পর্শ করলেন তিনি। শুরুতে মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে গড়েছেন ৬০ রানের জুটি। গত সাত ম্যাচ পর এটিই ছিল বাংলাদেশের পঞ্চাশ পেরুনো জুটি। সেইসঙ্গে আফগানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিও এটিই। তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মিরাজের জুটিও গড়েছে রেকর্ড। তৃতীয় উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরাজের সাফল্য এবারই প্রথম না। এর আগে ২০২২ সালে এই দলের বিপক্ষেই তিনি খেলেছেন ৮১ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচে হারতে থাকা বাংলাদেশকে জয় এনে দেন মিরাজ এবং আফিফ। এছাড়া চলতি বছরের ওয়ানডে সিরিজেও মিরাজ খেলেছেন মান বাঁচানো ইনিংস। মুশফিকের সঙ্গে গড়েছিলেন ৮৭ রানের জুটি। বাংলাদেশ-আফগান লড়াইতে এটিও আছে সর্বোচ্চ জুটির তালিকায়। তবে এদিন দুর্দান্ত শতক হাঁকানোর পরই মাঠ ছাড়েন মিরাজ। মুজিবকে ইনসাইড-আউটে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে দারুণ একটি ছক্কা হাঁকান মিরাজ। তবে এরপরই গ্লাভস খুলে ফেলেন। ধারণা করা হচ্ছে, আঙুলে ক্র্যাম্প হয়েছে মিরাজের। ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় এই অলরাউন্ডারকে। ১১৯ বলে ১১২ রান করে মিরাজ মাঠ ছাড়েন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত