আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা

এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলেন শান্ত, বিকল্প কে?

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচ জিতে নেট রান রেটের হিসেবে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। তবে সুপার ফোরের লড়াইয়ের আগে বড় এক ধাক্কাই খেল বাংলাদেশ দল। আফগানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো নাজমুল হোসেন শান্ত হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে চলমান এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছেন। পুরো আসরই মাঠের বাইরে কাটাবেন ছন্দে থাকা এ ব্যাটার। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এতে জানানো হয়েছে ছন্দে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটারকে দ্রুত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে পাঠানো হচ্ছে। চলমান এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ ৮৯ রান করার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন শান্ত। ছন্দে থাকা এই ব্যাটারকে সুপার ফোর রাউন্ডের আগে হারানো তাই দলের জন্য বিরাট ধাক্কা। লাহোরের প্রচণ্ড গরমে ১০৫ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলার সময়েই পেশিতে টান পড়ে শান্তর। তবে দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে মাঠে ছিলেন না। পরদিন সোমবার করা হয় এমআরআই স্ক্যান। তাতে বেরিয়ে আসে খারাপ খবর। জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম বলেন, ‘সে ব্যাট করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের ব্যথায় ভুগছিল, পরে ফিল্ডিং করেনি। আমরা তার এমআরএই করে দেখেছি তাতে কিছু সমস্যা আছে। যে কারণে এই টুর্নামেন্টে সে আর খেলতে পারবে না। দেশে ফিরে সে পুনর্বাসন করে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হবে।’ চলতি বছরে বাংলাদেশের সব ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক শান্তকে ঘিরে সুপার ফোরেও প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু আপাতত তাকে ছাড়াই পরিকল্পনা সারতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ক্রিকেটারের বিকল্প কে হবেন, তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। এদিকে, সোমবার রাতে পাকিস্তানে উড়ে গেছেন জ্বর থেকে সেরে ওঠা লিটন দাস। শান্ত ছিটকে পড়ায় দলে যুক্ত হবেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে তিনে নেমে লিটন খেলেছেন ১১ ম্যাচে। আছে এক অর্ধশতক। রান করেছেন ২০৯। গড় ২৩ দশমিক ২২ গড় আর ৮৩ এর উপরের স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন তিনি। এক ম্যাচে শূন্য থাকলেও পারফর্ম্যান্স অনুযায়ী শান্তর জায়গায় লিটনকে বিবেচনা করতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। এছাড়া স্কোয়াডে থাকা এনামুল হক বিজয়ও দুইবার খেলেছেন তিনে। তার মাঝে এক ইনিংসেই ছিল তার ফিফটি। সেই ম্যাচে ৭৩ রানে ফিরেছিলেন বিজয়। ওপেনার হিসেবে তার গড় ৩০ এর নিচে। তিনে নেমে অবশ্য গড় এবং স্ট্রাইক রেট দুই জায়গাতেই ভাল করেছেন তিনি। ৪৩ এর উপর গড় আর ৯৫ পেরুনো স্ট্রাইকরেট আছে নামের পাশে। এছাড়া আগের ম্যাচে তিনে নামিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে তাওহিদ হৃদয়কে। যদিও সেই পরীক্ষায় টিম ম্যানেজমেন্ট পাশ করতে পারেনি বললেই চলে। ২ বলে শূন্য করেই ফিরেছিলেন হৃদয়। সুপার ফোরে তেমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। এমনকি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও তিনে খেলার জন্য বেশ অভিজ্ঞ। ২০১৯ বিশ্বকাপে তিন নাম্বারে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি। আজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বেন টাইগাররা।