বাঁচা-মরার ম্যাচে আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে শান্ত-মিরাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে শীর্ষ চারে নাম লেখায় টাইগাররা। কিন্তু সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল পাকিস্তানের সঙ্গে পেরে উঠেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে খেলার আশা টিকিয়ে রাখতে হলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। এমন লক্ষ্য সামনে রেখে আজ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা। বাঁচা-মরার ম্যাচটিও শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায়। লাহোরে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরে যাওয়ায় টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে বাংলাদেশের সামনে জয় ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেলে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার আশা একরকম শেষ হয়ে যাবে টাইগারদের। পাল্লেকেলেতে গ্রুপ পর্বে লঙ্কানদের কাছে ৫ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। যে কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। ম্যাচে আফগানদের ৮৯ রানে হারিয়ে দারুনভাবে ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে বিদেশের মাটিতে দলীয় সরের্বাচ্চ ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জিততে হবে- এমন সমীকরনে আরও একবার জ্বলে উঠতে পারবে কিনা বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৪ রানের ইনিংসে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া ইনফর্ম ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে ইতোমধ্যেই দল বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। শান্তর জায়গায় সুযোগ পেলেও নিজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারেননি গেল কয়েক বছরে টাইগার দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার লিটন দাস। সাম্প্রতিক সময়ে লিটনের অধারাবাহিকতায় চিন্তায় ফেলেছে দলকে। নিদাহাস ট্রফির ঘটনায় গত পাঁচ বছর ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। সেই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত এখনও দু’দেশের ক্রিকেটারদের স্মরণে আছে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে দু’দলের মধ্যে সেই ম্যাচের কোন ছাপ দেখা যায়নি। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজেই জয় পায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে চাপে পড়েছিলো লঙ্কানরা। জয় না পেলেও ঐ ম্যাচে রান রেটে হিসাব-নিকাশ ছিলো তাদের সামনে। শেষপর্যন্ত ২ রানের জয়ে সুপার ফোরে উঠে তারা। প্রথম ম্যাচে হারলেও ২০১৫ সাল থেকেই ওয়ানডে ফরম্যাটে সেরা দল হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর সব দিক দিয়েই শ্রীলঙ্কার উপরে আছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের মঞ্চে ১৬বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে লঙ্কানদের জয় ১৩টিতে। সব মিলিয়ে, সর্বমোট ৫২বার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা ৪১বার এবং বাংলাদেশ ৯টি ম্যাচে জিতেছে। বাকী ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশ আবারো জ্বলে উঠবে বিশ্বাস অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর সাকিব বলেন, ‘আমাদের বোলিং বিভাগ ভালো করছে। এই মুহূর্তে ব্যাটিং ভালো ও খারাপ মিলিয়ে হচ্ছে। আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে এবং আমরা সেটাই করার চেষ্টা করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ম্যাচকে গুরুত্বসহকারে নিতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে, কারন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের আরও একটি ম্যাচে আছে। আমি আশা করি, আমরা ঘুড়ে দাঁড়িয়ে জয়ের ধারায় ফিরতে পারবো।’ এদিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ব্যাটিং পজিশনেও আসবে রদবদল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর সেজন্য সেরা একাদশ নির্বাচন করার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে আসতে পারে একটি পরিবর্তন। নাঈম শেখের পরিবর্তে এদিন একাদশে দেখা যেতে পারে এনামুল হক বিজয়কে। ওপেনিংয়ে বিজয়ের সঙ্গী হিসেবে দেখা যেতে পারে গত ম্যাচে ওয়ানডাউনে নামা লিটন দাসকে। বিজয়-লিটনের ওপেনিং জুটি টাইগারদের এনে দিতে পারে দারুণ শুরু। লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডাউনে নামার সম্ভাবনা রয়েছে আফিফের। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নামা মিরাজ চলে যাবেন তার পুরনো পজিশনে।