সাকিবের কাছে এশিয়া কাপ বাংলাদেশের জন্য ‘রিয়েলিটি চেক’!

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো সূচনা পায় বাংলাদেশ। তবে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর খেই হারায় তারা। ২৮ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট। চাপের মুখে দলের হাল ধরে লড়াই করলেন তাওহিদ হৃদয়। লম্বা সময় তাকে সঙ্গ দেয়া মুশফিকুর রহিম রানের চাহিদা মেটাতে গিয়ে আউট হলেন অসময়ে। হৃদয় ফিফটি হাঁকিয়ে আরও দূর যেতে থাকলে বেঁচে ছিল জয়ের আশা। এক পর্যায়ে ৪২ বলে যখন আর ৬৮ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ক্রিজে ‘শেষ ভরসা’ ছিলেন তাওহীদ হৃদয়, খানিক পর তিনি বিদায় নিতেই নিভু-নিভু প্রদীপটি দপ করে অন্ধকার নিয়ে আসে। তখন কেবল তলানিতে একটুখানি তেল নিয়ে যতটা সম্ভব বাকি পথ এগোনোর পালা। শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটেছে। আরো একটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে আর কোনো নাটকীয়তা মঞ্চস্থ হয়নি। শ্রীলঙ্কার দেয়া টার্গেট থেকে ২১ রান দূরত্বে থেমেছে বাংলাদেশ। ফলে চলতি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানদের। এশিয়া কাপের আসরে সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচ হারার পর বাস্তবতার উপলব্ধি হচ্ছে সাকিব আল হাসানের। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে সব সময় ভালো করলেও বড় আসরে যে বাংলাদেশ পরীক্ষাই ফেলই করে, এটা অকপটে স্বীকার করলেন তিনি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব ব্যাটারদের অধারাবাহিকতা নিয়ে জানিয়েছেন উদ্বেগ, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই হচ্ছে আমরা ভালো ব্যাট করছি না। সেই জায়গা থেকে চিন্তার বিষয়।’ তবে তার কাছে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপটা খুব কাজের মনে হচ্ছে এক দিক থেকে, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে এরকম একটা টুর্নামেন্ট বিশ্বকাপের আগে খুবই কাজে দিয়েছে। আসলে আমাদের রিয়েলিটি চেক দরকার ছিল।’ সাকিবের মতে বাংলাদেশ আসলে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে বরাবর ভালোই করে কিন্তু বড় আসরে দেখা যায় আসল ছবি, ‘আমরা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ যতগুলো হয় সিরিজগুলোতে কিন্তু সব সময় ভালোই করি। সেটা আপনি ২০১১ থেকে ২০১৫ দেখেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ দেখেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ দেখেন। সেসবে আমরা ভালো করেছি। আপনি বলতে পারবেন না আমরা কখনই খারাপ দল ছিলাম। আমাদের আসলে বড় পরীক্ষা হয় বড় টুর্নামেন্টে। যেখানে আমরা ২০০৭ সালের বিশ্বকাপেও তিনটা ম্যাচ জিতেছি, এগারোর বিশ্বকাপেও তিনটা জিতেছি, পনেরোর বিশ্বকাপেও তিনটা ম্যাচ জিতেছি, ঊনিশের বিশ্বকাপেও তিনটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের খুব একটা তফাৎ আছে সেটা বলা মুশকিল।’ বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের যখনই রিয়েলিটি চেক হয়, তখন কিন্তু আমরা ফেইলই করেছি। একটা জিনিস যেটা ভালো বিশ্বকাপের আগে এরকম একটা টুর্নামেন্ট হলো। থিংক ট্যাংক চিন্তা করবে এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়।’ তিনি বলেন, ‘কখনো আমরা বড় টুর্নামেন্ট ভালো করিনি। আপনি বলতে পারেন এশিয়া কাপ দুই তিনবার ফাইনাল খেলেছি। কিন্তু জিততে পারলে ভালো হতো। আমাদের কিন্তু গত কয়েক মাসে হোমেও কিন্তু ভালো করছি না। ব্যাটিংটাও নিচের দিকে যাচ্ছে।’