এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে

প্রথম দল হিসাবে হাংজু গেল বাংলাদেশ ফুটবল দল

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৩ সেপ্টেম্বর পর্দা উঠছে এশিয়ার অলিম্পিক নামে খ্যাত এশিয়ান গেমসের। তবে তার আগে শুরু হবে ফুটবল। তাই ১৯তম এই আসরে অংশ নিতে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। ১৯ সেপ্টেম্বর শিষ্যদের নিয়ে মাঠে নামবে জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ মিয়ানমার।

২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো উঠেছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। উজবেকিস্তান, কাতার আর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপে বাংলাদেশ খেলেছিল দুর্দান্ত। জামাল ভূঁইয়ার গোলে কাতারের মতো দলকে হারিয়েছিল। ড্র করেছিল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তর কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষেও লড়াইটা মন্দ করেনি। হেরেছিল ৩-১ গোলে। জাকার্তা এশিয়ান গেমস সুখস্মৃতির হয়ে নিয়েই এশিয়াডে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য ঠিক না করলেও ভারো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এবার গ্রুপের তিনটিই শক্তিশালী দল। চীনে এশিয়ারই অন্যতম শীর্ষ দল। ভারত আসছে সুনীল ছেত্রীর নেতৃত্বে শক্তিশালী দল নিয়ে। সাম্প্রতিক কালে ভারত ফুটবল খেলছে যথেষ্ট দাপটের সঙ্গেই। এশিয়ার বড় বড় শক্তির সঙ্গে ভারত টক্কর দিচ্ছে চোখে চোখ রেখে। মিয়ানমারও র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। জাকার্তা এশিয়াডকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে হাংজুতেও কি ফুটবল দল ভালো কিছু করতে পারবে? স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অধীন জাতীয় দল কিছু দিন হলো বেশ ভালো করছে। কিন্তু এটা অনুর্ধ্ব-২৩, এই দল কতটা কী করতে পারবে? তারওপরে দলকে প্রস্তুত করার খুব একটা সুযোগ পাননি কাবরেরা।

১৫ ফুটবলারকে নিয়ে রোববার ক্যাম্প শুরু করলেও বাকি সাত ফুটবলারকে তিনি পেয়েছেন বৃহস্পতিবার। ওইদিন কিংসের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি ৫-০ গোলে হারলেও সেদিন দলকে প্রথম এক সঙ্গে দেখার সুযোগ পেয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ।

এশিয়াডে বাংলাদেশ দলের আর্মব্যান্ড পড়বেন রহমত মিয়া। জাকার্তা এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ নকআউট পর্বে উঠেছিল। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রহমত। গত আসরের দলের সঙ্গে এবারের দলের পার্থক্য দেখছেন এশিয়াড দলের সিনিয়র ফুটবলার রহমত মিয়া। শুক্রবার কিংস অ্যারেনাতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গত গেমসে অধিনায়ক জামাল ছিলেন এবং তার সঙ্গে আরো অনেক ফুটবলার ছিলেন জাতীয় দলে খেলা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।

এবার কিংসের খেলা থাকায় অনেক জাতীয় ফুটবলার নেই। ২২ জনের মধ্যে ১৫ জনের জাতীয় দলে ক্যাম্প করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা নিজেদের সেরাটা দেয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবে জাতীয় দলে নিজের জায়গা করতে।’ কোচ হাভিয়েরের কথা, ‘আমার লক্ষ্য সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে চাই না।

ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চাই। প্রথম ম্যাচ মিয়ানমারের বিপক্ষে সেটাই আগে ভাবছি।’