ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশকে লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিল শ্রীলঙ্কা

২৩ বছর পর
বাংলাদেশকে লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিল শ্রীলঙ্কা

ঘরের মাঠে বড় প্রত্যাশা নিয়েই এশিয়া কাপের ফাইনালে ব্যাটিং করতে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু স্বাগতিকদের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো। মোহাম্মদ সিরাজের গতি ঝড়ে এক ওভারেই লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে লঙ্কানদের ব্যাটিং। ভারতের এই পেসার চতুর্থ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন। ষষ্ঠ ওভারে আবার আঘাত করে তুলে নিয়েছেন ম্যাচের পঞ্চম উইকেট। তাতে ১২ রানে শ্রীলঙ্কা হারায় ৬ উইকেট! মাঝে কুশল মেন্ডিস প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে তাকেও বোল্ড করেছেন তিনি। স্বাগতিকদের সবশেষ তিন উইকেট হারায় হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে। ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট স্বাগতিকরা, যা এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড শ্রীলঙ্কার। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপের লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি মিলেছে বাংলাদেশের। এর আগে এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি টাইগারদের ছিল। ২০০০ সালের সে ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রান অলআউট হয়ে যায় জাভেদ ওমর বেলিম, হাবিবুল বাশার, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও আকরাম খানদের সম্বনয়ে গড়া বাংলাদেশ দল। ১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে ৬২ রানে পরাজিত হওয়ার পর সেবার এশিয়া কাপে খেলতে বাংলাদেশে আসে পাকিস্তান। টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক মঈন খান ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ইমরান নাজির, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইনজামাম উল হকের হাফ সেঞ্চুরি ও শহীদ আফ্রিদির ২৯ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে পাকিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান সংগ্রহ করে।

জবাবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়। পাক পেসার আব্দুল রাজ্জাক ৩টি, আজহার মাহমুদ ২টি, ওয়াসিম, মোহাম্মদ আকরাম ও আরশাদ খান একটি করে উইকেট লাভ করেন। ২০০০ সালের পর আজকের ম্যাচে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে সেই লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিলো শ্রীলঙ্কা। তবে শ্রীলঙ্কা তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড থেকে বেঁচে গেছে। এর আগে তাদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি ৪৩ রানে। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়ে লঙ্কানরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত