ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনল আইসিসি

৭৫০ ডলারের উপহার নিয়ে ফেঁসে গেলেন
নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনল আইসিসি

নানা কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই দুঃসময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছিলেন জাতীয় দলের একসময়কার তারকা ক্রিকেটার নাসির হোসেন। এক বিমানবালাকে বিয়ে করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন। ফলে জাতীয় দলেও জায়গা হারিছেন। এবার এই অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ।

বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। টি-টেন লিগে খেলার সময়কার একটি ঘটনার জের ধরে এই অভিযোগ এনেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ২০১০ সালে টি-টেন লিগে খেলার সময় এক ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার নিয়েছিলেন নাসির। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) মনে করছে সেই ব্যক্তিটির ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নাসির যেহেতু সেই ব্যক্তির নিকট থেকে উপহার নিয়েছে সে কারণে নাসির দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমনটাই ধারণা ইসিবির। সে কারণেই বিষয়টি তারা আইসিসির কাছে জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাসিরকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেছে আইসিসি। আইসিসি এক বার্তায় জানায়, ইসিবির অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসি খেলোয়াড় ও অফিসিয়াল মিলিয়ে মোট আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়ে নাসির ভঙ্গ করেছেন আইসিসির দুর্নীতিবিরোধীর ২.৪.৩ ধারা।

এছাড়া তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কি না, তাকে কোনোভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কি না, তা পরিষ্কার করে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২.৪.৩ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। আর তিনি এসিবির আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার বিরুদ্ধে ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে আইসিসি। এই তালিকায় আরও আছেন শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার), সানি দিলোন (সহকারী কোচ), সালিয়া সামন (স্থানীয় ক্রিকেটার), রিজওয়ান জাভেদ (স্থানীয় ক্রিকেটার), আজহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ) ও পরাগ সাংভি (দলের অন্যতম মালিক)। অভিযোগ আনা আটজনের মধ্যে ইতোমধ্যে ছয়জনকে ১৪ দিনের জন্য অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা হলেন কৃশান কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামন ও সানি দিলোন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত