এখনো যে ইচ্ছে পূরণ হয়নি মেসির!

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবল ক্যারিয়ারে সবকিছুই জিতেছেন লিওনেল মেসি। ক্লাবের হয়ে সর্বজয়ী এই ফুটবলারের সবশেষ চাওয়া ছিল বিশ্বকাপ। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর কাতারে ধরা দিয়েছে সেই সোনালি ট্রফি। তাই ফুটবল থেকে আর চাওয়ার কিছু নেই রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকার। কিন্তু মেসি জানালেন, এখনো একটা ইচ্ছে অপূর্ণ রয়ে গেছে তার। সম্প্রতি আর্জেন্টাইনভিত্তিক ‘ওলগা’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এলএমটেন। সেখানে কন্যাসন্তানের বাবা হওয়ার মনোবাসনার কথা জানিয়েছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির খেলাধুলাবিষয়ক গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস। স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির সম্পর্কের শুরু বাল্যকালেই। দীর্ঘদিন ধরেই সংসার করলেও ২০১৭ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন তারা। বিয়ের আগে দুটি ও বিয়ের পরে একটি সন্তান আসে এই দম্পতির ঘরে। এবার পরিবারে চতুর্থ সন্তানের অপেক্ষায় আছেন মেসি-রোকুজ্জো দম্পতি। সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, আমরা আরও একটি সন্তান নিতে চাই। দেখি এবার মেয়ে হয় কি না। আন্তোনেল্লা একজন ভালো মা। আমি তার প্রতি মুগ্ধ। সে ২৪ ঘণ্টা সন্তানদের সঙ্গে থাকে। ভ্রমণ, খেলা, প্রাক-মৌসুম, জাতীয় দলের কারণে আমাদের বেশির ভাগ সময় দূরে থাকতে হয়। অবসর ও ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, আমি এখন আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না, এটা অনেক দূরে। হ্যাঁ, আসন্ন কোপা আমেরিকা নিয়ে ভাবছি। দারুণ এক টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। এরপর দেখা যাবে। এটা খেলা চালিয়ে যাওয়া) নির্ভর করছে আমার শরীরের ওপর। (বিশ্বকাপ জয়ের) বছর কেটে গেছে এবং আমাদের দেখতে হবে দিনকে দিন আমি কেমন অনুভব করি। আমি দূরের কথা ভাবতে চাই না। যতটা পারি খেলা উপভোগ করতে চাই।’ বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা নিজ নিজ ক্লাবে বড় সংবর্ধনা পেলেও মেসির কপালে তা জোটেনি। ফরাসি ক্লাব পিএসজি তাকে নিয়ে তেমন কোনো আয়োজনই করেনি বলেও সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন তিনি। মেসি বলেন, আর্জেন্টিনার বাকি ২৫ সতীর্থদের সঙ্গে তুলনা করলে, আমিই একমাত্র খেলোয়াড় ছিলাম যে ক্লাবের কাছ থেকে (বিশ্বকাপ জয়ের জন্য) কোনো স্বীকৃতি পাইনি। অবসরের পর কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেসি বলেন, আমি সত্যিই জানি না। আমি ফুটবলের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু পছন্দ করি। আমি বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি, পড়াতে পছন্দ করি। আমি একজন ক্রীড়া পরিচালক হতেও পছন্দ করি। কিন্তু আমি জানি না আমি কোথায় শুরু করতে যাচ্ছি। এদিকে সাক্ষাৎকারে মেসি আরও একটি আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর দলের ২৫ জনের দলের সবাই নিজ নিজ ক্লাবে ফিরে ব্যাপকভাবে সম্মানিত হলেও পিএসজিতে মেসি তা পাননি। তবে ফরাসি ক্লাবটি কেন তার অর্জনে যথাযথ স্বীকৃতি দেয়নি, সেটিও তিনি বুঝতে পেরেছেন। তাই এ নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চান না মেসি। ‘২৫ জনের মধ্যে আমিই একমাত্র খেলোয়াড়, যে ক্লাবের (পিএসজি) পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পাইনি। ব্যাপারটা একদমই স্বাভাবিক। কারণ, আমাদের (আর্জেন্টিনা) কারণেই ওরা (ফ্রান্স) বিশ্বকাপ ধরে রাখতে পারেনি।’ তবুও পিএসজিতে থাকতে চেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু সব মিলিয়ে পরিস্থিতি তার পক্ষে ছিল না জানিয়ে ইন্টার মায়ামি তারকা বলেন, ‘এরকমই হয়েছে। আমি যা আশা করেছিলাম, সেটা হয়নি। যেকোনো কিছু কোনো কারণেই ঘটে থাকে। আমি সেখানে ভালো ছিলাম না, কারণ, আমি তখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।’ নিজের খুশি মতো থাকার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন জানিয়ে ৩৬ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ড আরো বলেন, ‘আমি যা করি, সেটা আমি ভালোবাসী। আমি খেলতে আনন্দ পাই। এ কারণেই অন্য কোথাও না গিয়ে মায়ামিতে এসেছি। এখন অভিজ্ঞতাটা ভিন্নভাবে হচ্ছে।’