ইংল্যান্ড প্রবাসী স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস বাংলাদেশের প্রর্তাশা পুরণে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে শনিবার হাংজুর অলিম্পিক সেন্টারে ইমরানের ইভেন্ট শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বক্সিংয়ের রিংয়ে নেমেছিলেন আরেক বক্সার সেলিম হোসেন। অনূর্ধ্ব-৫৭ কেজির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেলিম রিংয়ে নেমেছিলেন আসরর ভকিধবকের বিপক্ষে। তাজিকিস্তানের এই প্রতিপক্ষকে নকআউট করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের এই বক্সার। প্রথম রাউন্ডে পাঁচ জাজের বিচারে পিছিয়ে ছিলেন সেলিম। দ্বিতীয় রাউন্ডে ভিন্নরুপে হাজির হন। তৃতীয় মিনিটে তাজিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করেন। এর ফলে চোখের উপর কেটে যায় তার। খেলা বন্ধ করে সেলিমকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এর আগে শ্রীলঙ্কান রাকমাল প্রসন্নকে প্রথম রাউন্ডে হারিয়েছিলেন। ৩ অক্টোবর জাপানী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে নামবেন সেলিম। সেই ম্যাচে জিতলে সেমিফাইনালে উঠার পাশাপাশি ব্রোঞ্জও নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। বক্সিংয়ে সেমিফাইনালে বিজিত বক্সারও ব্রোঞ্জ পান। বক্সিংয়ে বাংলাদেশের সবার আগ্রহ ছিল আমেরিকার প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌসের দিকে। জিনাত দ্বিতীয় রাউন্ডে মঙ্গোলিয়ান বক্সারের বিপক্ষে হেরে শেষ আটে উঠতে পারেননি। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেননি তিনি। হেরেছেন ৫-০ তে। অতিথি বক্সার যখন দেশকে লজ্জায় ডুবিয়েছেন, তখন বুক চিতিয়ে লড়েছেন স্থানীয় বক্সার সেলিম হোসেন। যাকে নিয়ে তেমন আলোচনা ছিল না সেই সেলিমই এখন পদকের কাছাকাছি। ১৯৮৬ সিউল এশিয়ান গেমসে বক্সার মোশাররফ ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। এশিয়ান গেমসে ব্যক্তিগত পদক একটি এখন পর্যন্ত। বক্সার সেলিম কোয়ার্টারে উঠায় পদকের সম্ভাবনা জেগেছে। সেলিম নিজেও বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘আমি দেশকে পদক এনে দিতে চাই। জাপানের প্রতিপক্ষ নিয়ে এই কয়েকদিন কাজ করব। কোচের নির্দেশনা মেনে অনুশীলন করব।’
