সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ২৩ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের চেন্নাই শহরে ১৩ দেশের অংশগ্রহণে হয় পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েছে বাংলাদেশের পথশিশুরা। চেন্নাইতে পরপর চারটি ম্যাচ জিতে শিরোপার স্বপ্নে পা বাড়িয়েছিল বাংলাদেশের পথশিশুরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় বাংলাদেশ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল। তবে সেমিতে উগান্ডার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। তবে ফাইনাল খেলতে না পারলেও রুবেল, হাসান, সাথী ও আফরিনরা হৃদয় জিতেছে ঠিকই। টুর্নামেন্টে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছিল বাংলাদেশ। শক্ত হাতের ব্যাটিং কিংবা ক্ষিপ্র গতির বোলিংয়ের মাধ্যমে পথশিশুদের অধিকার আদায়ে বৈশ্বিক আন্দোলনে নিজেদের প্রতিভার জানান দিয়েছে অমিত তেজ আর সম্ভাবনাময় এইসব ক্ষুদে ক্রিকেটারেরা। ক্রিকেটের তীর্থভূমির প্রতিনিধি দল ইংল্যান্ডকে হারানোর মধ্যদিয়ে এবং প্রতিপক্ষ দল শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, বুরুন্ডি এবং মরিশাসের মতো দেশকে হারিয়ে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে সুযোগ আর প্ল্যাটফর্ম পেলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। বিশ্বকাপে চার ছেলে ও চার মেয়ে শিশুর দল ভারতের চেন্নাইয়ে শেষ হওয়া পথ শিশু বিশ্বকাপে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে। গত সোমবার সব সদস্যদের বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য রাজধানীর একটি গেস্ট হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-লিডো। প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্ট্রিট চাইল্ড ইউনাইটেড কর্তৃক দ্বিতীয়বারের বৈশ্বিক এই আয়োজনে লিডোই মূলত বাংলাদেশের হয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে অংশগ্রহণ করে আসছে।
