ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভালো পারফর্ম করে দলে ফেরার চেষ্টায় সাইফউদ্দিন

ভালো পারফর্ম করে দলে ফেরার চেষ্টায় সাইফউদ্দিন

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বড় হতাশার নাম পেস বোলিং অলরাউন্ডার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার খুঁজে আসছে। প্রতিভাবান অনেক খেলোয়াড় সুযোগ পেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা হারিয়ে গেছেন অজানা কোনো কারণে। প্রতিভা থাকা খেলোয়াড়রা পারফরম্যান্সের কারণেই দল থেকে বাদ পড়েছেন। কিন্তু একবার বাদ পড়া খেলোয়াড়রা আর কখনোই ফিরতে পারেননি। জিয়াউর রহমান, আবুল হোসেন রাজু, ফরহাদ রেজার মতো খেলোয়াড়রা আসলেন, খেললেন এবং চলেও গেলেন। কিন্তু কাউকে দিয়েই লম্বা সময়ের কাজ চালানোর ভরসা পায়নি বাংলাদেশ দল। সবাই প্রায় শেষপর্যন্ত পরিণত হয়েছেন বিশেষজ্ঞ বোলার বা ব্যাটসম্যানে। অপেক্ষার প্রহর বাড়তে বাড়তে অবশেষে সন্ধান মিলেছিল একজন কাঙ্ক্ষিত পেস বোলিং অলরাউন্ডারের। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নামের একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার পেল। ব্যাট ও বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে।

বিশ্বকাপের পরেই বিপিএলে সুযোগ পান তিনি। বিপিএল নজর কাড়া বোলিং করে বুঝিয়ে দেন তিনি থাকতেই এসেছেন। কিন্তু কখনও ফর্মহীনতা কখনো ইনজুরি তাকে স্থায়ী হতে দেয়নি। বেশ কিছুদিন ধরেই ইনজুরিতে ভুগছেন জাতীয় দলের এই পেস বোলিং আলরাউন্ডার। যে কারণে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলেও তার ঠাঁই হয়নি। অথচ, ২০১৯ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার। এবারের বিশ্বকাপে যে ১৫ ক্রিকেটার বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাদের নিয়ে কী ভাবছেন সাইফউদ্দিন? সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় ‘স্ন্যাপস্টোর’ নামক একটি রিসেলার ব্র্যন্ড শপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাইফুদ্দিন বলেন, ‘যে ১৫ জন বিশ্বকাপ খেলতে গেছে, আমাদের উচিত তাদেরকে সাপোর্ট করা।

এখন আর সে সময় নেই যে তাদেরকে নিয়ে আমরা নেতিবাচক কিছু বলব।’

নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিশ্বকাপের পরে জাতীয় দলের আরো সূচি আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও সামনে আছে।

এখন আমি নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছি। সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। নিশ্চই পারফর্ম করলে আমার সুযোগ আসবে আগামীদিনের খেলাগুলোতে দলে যায়গা পাওয়ার। আমি চেষ্টা করব ভালো কিছু করার এবং দলে ফেরার।’ উত্তরার ১০ নং সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডের ২১ নাম্বার প্লটে নতুন এই শপ নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘এখানে এসে ভালো লাগছে। এক ছাদের নিচে এত ব্র্যান্ডের জুতো, কাপড় এই প্রথম দেখছি। বিদেশে দেখেছি।

ঢাকায় এই প্রথম।’ শপের কর্ণধার আহাদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের এখন বিশ্বের নামিদামি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে এবং সেসব ব্র্যান্ডের পোশাক, জুতো, এক্সেসরিজের বর্তমানে প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে।

এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা বাংলাদেশে স্ন্যাপস্টোরের মাধ্যমে বিশ্বের সব নামিদামি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডেকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসেছি, যাতে আমাদের কাস্টমাররা সহজেই দেশে বসে তাদের পছন্দসই ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট আমাদের শোরুম থেকে ক্রয় করতে পারে। অগ্রিম অর্ডার করলেও আমরা ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে পণ্য তাদের হাতে পৌঁছে দিতে পারব।’

আরেক কর্ণধার মো. ইমতিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘বিশ্বের সব নামিদামি ব্র্যান্ড যেমন- নাইকি, এডিডাস, পুমা, এসিক্সস, নিউ ব্যালেন্স, গেজ, ভিঞ্চি, মাইকেল কোর, ফসিলস, শেইন, ডিওর, শ্যানেল, এল্ডো, মেক, জারা, স্টিভ মেডেন, এল.ভি, গুচিসহ আরো নানা জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট স্ন্যাপস্টোরের মাধ্যমে পাওয়া যাবে, যা সরাসরি মালয়েশিয়া, ইউকে, ইউএসএ থেকে নিয়ে আসা হয়।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত