ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘ভয়ংকর শিরোনামে বিব্রত হন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা’

‘ভয়ংকর শিরোনামে বিব্রত হন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা’

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে অংশ্রগ্রহণ করতে দেশ ছাড়ার আগে খানিকটা বিব্রত অবস্থায় পড়েছিল টাইগাররা। মূলত তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পাল্টাপাল্টি ভিডিও বার্তা নিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তবে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ক্রিকেট ২২ গজের খেলা। কিন্তু ইন্টারনেট থেকে শুরু করে স্মার্ট ফোনের সহজলভ্যতার কারণে ছড়িয়ে পড়ে আনাচে-কানাচে। তখন খেলা আর খেলা থাকে না, পারফরম্যান্স কিংবা ক্রিকেটারদের কথা কাঁটাছেড়া করতে গিয়ে গণমাধ্যম হতে শুরু করে সামজিক মাধ্যম কখনো কখনো সীমা ছড়িয়ে যায়। আর তা দেখে অনেক ক্রিকেটারই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বিশ্বকাপের আসর চলছে। বাংলাদেশ নামবে একদিন বাদেই। চার বছর পর ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসরে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে শক্ত-নির্মল রাখতে নতুন কৌশল নিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেটি হলো মুঠোফোন যতসম্ভব কম ব্যবহার করা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকা। আগামীকাল শনিবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে লড়বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। গৌহাটিতে দুই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ৩ অক্টোবর হিমাচলে পৌঁছায় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ধর্মশালার আউটারের নেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করে সাকিব আল হাসানের দল। তবে মিডিয়া থেকে দলের ক্রিকেটাররা যেন একটু দূরে দূরেই থাকছেন। সেটার কারণ জানালেন দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘মনোযোগটা ক্রিকেটেই থাকুক। যেটি হয়, কোনো একটি ইন্টারভিউ থেকে কথা সংক্ষিপ্ত করে এমন একটি খবর হয়, যেটা হয়তো ছেলেটা সেভাবে বলেইনি। অনেক সময় এমন কাটা কাটা খবর হয়, ভয়ঙ্কর শিরোনাম হয়। ছেলেরা তাতে বিব্রত হয়।’ খালেদ মাহমুদ যোগ করেন ‘যেহেতু আমাদের ফোকাস বিশ্বকাপ খেলার দিকেই, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ম্যাচের আগে একজনই কথা বলুক। আর ছেলেরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকলে মনে হয় মনোযোগ আরো ভালো দিতে পারবে।’ বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট চাইছে বাইরের জিনিস যাতে কোনোভাবে ক্রিকেটারদের মনোজগতে প্রভাব না ফেলে। কীভাবে কী হয় সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন খালেদ, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন আপনি কোনো স্টোরি পড়তে যাবেন, ফোনের সামনে যখন ৭-৮ ঘণ্টা থাকবেন, ওটা বড় একটি স্ট্রেস। আমরা চাই ওই স্ট্রেসটা যেন কম পড়ে। এটা যতটা কমানো যায়। মেন্টালি যাতে স্ট্রেস না পড়ে। চোখের ওপর চাপ পড়ে। অনুশীলন সেশনগুলোও গরমের মধ্যে হচ্ছে।’ টিম ম্যানেজম্যান্টের এমন পরামর্শে ক্রিকেটাররাও সাড়া দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন খালেদ। তার প্রত্যাশা এই মানিয়ে নিতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করবে, ‘সব কিছু ম্যানেজ করে মানসিক দিক থেকে ওদের নিজে নিজে তৈরি হতে হবে। এতে ওরা বেশ ভালো সাড়াও দিচ্ছে। ডিসিপ্লিন ও পরিবেশ যদি ভালো থাকে, তাহলে এই আসরে আমরা ভালো করবো।’ এদিকে, প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর ব্যাপারে আশাবাদী সুজন বলেন, ‘আফগানদের শেষ পারফরম্যান্সের কথা যদি চিন্তা করি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানকে হারিয়েছে। আমরা একটি ইতিবাচক নোট নিয়ে শুরু করছি। আফগানিস্তানের খুব ভালো বোলিং অ্যাটাক আছে। তাই বলে যে ওদের হারানো যাবে না, তা না। অথবা ওরা আমাদের হারিয়ে দেবে এমনও না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত