ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ওপেনিংয়ে লিটনই ভরসা

ওপেনিংয়ে লিটনই ভরসা

একটা সময় ছিল ভালো উইকেটকিপিং করতে পারলেই জাতীয় দলে জায়গা নিশ্চিত ছিল; কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি উইকেটরক্ষকের দায়িত্বেও পরিবর্তন এসেছে। বলা যায়, দায়িত্ব বেড়েছে। উইকেটকিংপিংয়ের পাশাপাশি ভালো ব্যাটিং করতে হবে। মুশফিকুর রহিম সেই দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করে আসছেন। তার সুযোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে লিটন দাসও কাজটা ভালোভাবে করে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে কিপিং করছেন, আবার ওপেনার হিসেবেও খেলছেন। শুধু খেলছেন না, ওপেনিংয়ে এখন তিনিই সবচেয়ে অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র ব্যাটার। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে তাকেই। সে সঙ্গে টেনে তুলতে হবে তানজিদ হাসান তামিমদেরও। ওয়ানডে ক্যারিয়ার (২০১৫-২০০৩) : ম্যাচ: ৭৭, রান: ২২৫০, সর্বোচ্চ ১৭৬, গড়: ৩২.৬০, সেঞ্চুরি: ৫টি, হাফ সেঞ্চুরি : ১০টি, ক্যাচ: ৫০টি, স্ট্যাম্পিং: ৪টি) দিনাজপুরে জম্ম নেওয়া লিটন দাসের ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্যতা সেই কিশোর বয়স থেকে। বিকেএসপি থেকে উঠে আসা লিটনের স্কুল ক্রিকেট ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে তার ব্যাটিং দক্ষতা সবাইকে অবাক করেছিল। উভয় ক্রিকেটে একাধিকবার তিনি বড় বড় ইনিংস খেলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ডাক পান লিটন। সেখানেও ব্যাটিং দ্যুতি ছড়ান। দুই আসরে একটা সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিনটা হাফ সেঞ্চুরি করেন, রান গড় ৫১.৩৩। ব্যাটিংয়ে তার চমৎকার রক্ষণাত্মক কৌশল ও শট খেলার দারুণ দক্ষতা- এসব কারণে প্রথমশ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেয় লিটনকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দরজা খুলে যায়। প্রথম দিকে বাঘা বাঘা বোলারদের সঙ্গে মানিতে নিতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে লিটনকে। রান পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হয়েছে। এমনটা হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কেননা, অভিষেকের পর থেকেই বড় বড় সব দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামতে হয়েছে তাকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত