ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমার জন্য খুব আনন্দদায়ক মুহূর্ত : মিরাজ

আমার জন্য খুব আনন্দদায়ক মুহূর্ত : মিরাজ

আগে শুধু তার বোলিংটার ওপরই ভরসা ছিল বাংলাদেশ দলের। তবে দিনকে দিন নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। গতকাল শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক এই মিরাজ।

আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানে গুটিয়ে দেয়ার পেছনে বল হাতে বড় অবদান ছিল এই অফস্পিনারের। ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেইডেনসহ মাত্র ২৫ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। এরপর রান তাড়ায়ও তিন নম্বরে নেমে খেলেছেন ঝকঝকে এক ইনিংস। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন। ৭৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৭ রান আসে মিরাজের উইলো থেকে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান তিনি। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। সঙ্গে উপরে ব্যাটিংয়ে সুযোগ দেয়ায়, তার উপর বিশ্বাস রাখায় ম্যানেজম্যান্ট-অধিনায়ককে কৃতিত্ব দেন। ‘আমার জন্য খুব আনন্দদায়ক মুহূর্ত এটি। বিগত কয়েক বছরে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। ম্যানেজম্যান্টকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। শুরুতে বোলিংয়ের সময় একটু বেশি সতর্ক ছিলাম, কিন্তু অধিনায়ক আমাকে সাহস দিয়েছে। বুঝিয়েছে সঠিক জায়গায় বোলিং করতে। তার কথায় আমি আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। অধিনায়ককে কৃতিত্ব দিতেই হয়।’

‘উইকেট বেশ ভালো ছিল, আমি বল বাই বল খেলার চেষ্টা করেছি। উইকেটে হালকা টার্ন ছিল, চেষ্টা ছিল টিকে থাকার। আমি সবসময় আট নম্বরে ব্যাট করি, কিন্তু উপরে খেলার সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমার ভেতর ভালো করার ক্ষুধা ছিল, আমি সুযোগ পেয়ে সেটাকেই কাজে লাগিয়েছি’- আরো যোগ করেন মিরাজ।

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মাটিতে ডু অর ডাই ম্যাচে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মিরাজ। বাংলাদেশও পায় বড় জয়। এবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দারুণ অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দুই প্রস্তুতি ম্যাচে পেয়েছিলেন ফিফটি, সেটি ধরে রাখেন মূল মঞ্চেও। এবার শুধু সামনে তাকানোর পালা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত