ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিউগলের সুরে পর্দা নামল এশিয়ান গেমসের

বিউগলের সুরে পর্দা নামল এশিয়ান গেমসের

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করেছিল ‘১৯তম এশিয়ান গেমস’। এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এ আসরে এশিয়া মহাদেশের ৪৫টি দেশের ১২ হাজার ৪১৭ অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করে। গেল ১৫ দিন ধরে ৫৬টি ভেন্যুতে ৪০টি খেলার ৬১টি ডিসিপ্লিনের ৪৮৩টি ইভেন্টে পদকের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে দেশগুলো। ৪৫টি দেশের হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলা বসেছিল চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের রাজধানী হ্যাংজু শহরে। একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, একই সঙ্গে বিভিন্ন ভেন্যুতে যাওয়া, সাহায্য-সহযোগিতা করা। সব মিলিয়ে সবার সঙ্গে সবার একটা দারুণ ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হয়েছিল। মেইন মিডিয়া সেন্টারে (এমএমসি) প্রতিদিনই সবার সঙ্গে সবার দেখা হতো। হাই-হ্যালো হতো, গল্প হতো, খুনসুঁটি হতো। নানা দেশের, নানা ভাষার, নানা মানুষের সে এক বিশাল মিলনমেলা। কিন্তু সেই মিলনমেলায় এবার বিউগলের সুর বেঁজে উঠল। গত সোমবার চীনের শ্রেষ্ঠত্ব দখল আর জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেল ২০২২ এশিয়ান গেমস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতোই সমাপনী অনুষ্ঠানও ছিল জমকালো, চোখ ধাঁধানো। সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাঠে প্রবেশ করেন ঝেজিয়াং প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার (ওসিএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। এরপর চীনের জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে পাতাকা উত্তোলন করা হয়। সেটা শেষে এশিয়ান গেমসের ওপর একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর হয় চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স প্রদর্শন। সেটা শেষ হতেই শুরু হয় পতাকা ও অ্যাথলেট প্যারেড। বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের বাংলাদেশের অধিনায়ক সাইফ হাসান। সেটা শেষে ১৯তম এশিয়ান গেমসের হাইলাইটস দেখানো হয়। এরপর চীনের ইতিহাস ও ঐহিত্য তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে হ্যাংজুর পদ্মফুল ও ওসমান্থাসের। চীনের প্রথা অনুযায়ী বিদায়ী বন্ধুকে একটি ফুল তুলে হাতে দিয়ে বিদায় জানাতে হয়। এরপর এশিয়ান গেমসের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো দেখানো হয়। সেটা শেষে ১৯তম এশিয়ান গেমসের আয়োজক কমিটির প্রধান ও চায়না অলিম্পিক কমিটির প্রধান বক্তব্য দেন। অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বক্তব্য দিয়ে সমাপনী ঘোষণা করেন। এরপর ওসিএ’র পতাকা অবনমিত করা হয় এবং ওসিএ’র সঙ্গীতের সঙ্গে কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা হয়। সেটা শেষে ২৩ তারিখে জ্বালানো মশাল ডিজিট্যালি নেভানো হয়। এরপর এশিয়ান গেমসের পরবর্তী আসরের আয়োজক জাপানের কাছে মশাল হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জাপানের জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তী আয়োজক শহরের আর্টিস্টিক পারফরম্যান্স দেখানো হয়। সবশেষে হ্যাংজু এশিয়ান গেমসের দারুণ কিছু মুহূর্তের ভিডিও দেখানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। এবারের এশিয়ান গেমসে যথারীতি চীন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। তারা ২০১টি স্বর্ণ, ১১১টি রৌপ্য ও ৭১টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৩৮৩ পদক পেয়ে সেরা হয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাপান পেয়েছে ১৮৮টি পদক। তার মধ্যে স্বর্ণ ৫২টি, রৌপ্য ৬৭টি এবং ব্রোঞ্জ ৬৯। তৃতীয় হওয়া দক্ষিণ কোরিয়া ৪২টি স্বর্ণ, ৫৯টি রৌপ্য ও ৮৯টি ব্রোঞ্জ জিতে তৃতীয় হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত