যে কারণে ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে তিন মহাদেশের ছয় দেশে

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

এতদিন ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করে আসছিল কোনো একক দেশ। তবে একটু ভিন্নভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো তিনটি মহাদেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। সব মিলিয়ে ছয়টি দেশের মাঠে গড়াবে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর।

স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করেন। দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, মরক্কো, প্যারাগুয়ে, পর্তুগাল, স্পেন এবং উরুগুয়ে। মূল আয়োজক হিসেবে থাকবে মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল। তবে একটি করে ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে। আগেই ২০৩০ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হতে সম্মিলিতভাবে বিড করেছিল মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল। সর্বসম্মতিক্রমে তাদেরকেই বেছে নিয়েছে ফিফা কাউন্সিল। বাছাইপর্বে খেলা ছাড়াই এই তিনটি দেশ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। বিশ্বকাপের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে আর্জেন্টিনা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে (বিশ্বকাপের) একমাত্র প্রার্থী হবে মরক্কো, পর্তুগাল ও স্পেনের সম্মিলিত বিড। তারা ২০৩০ সালের আসরটি আয়োজন করবে। (বাছাইপর্বের মহাদেশভিত্তিক) বর্তমান বরাদ্দকৃত স্লট থেকে তারা সরাসরি (বিশ্বকাপে খেলার) যোগ্যতা অর্জন করবে।’ ফিফার বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রথম বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে, ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতিক্রমে উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদিওতে একটি অনন্য শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে। সেখানে ১৯৩০ সালে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পাশাপাশি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে।’ ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের শতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য এই তিনটি ম্যাচের প্রথমটি অবশ্যই সেই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে এটা (বিশ্বকাপের উন্মাদনা) শুরু হয়েছিল, মন্তেভিদিওর এস্তাদিও সেন্তেনারিওতে।’ ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল উরুগুয়েতে। সেবার মন্তেভিদিওতে অবস্থিত এস্তাদিও সেন্তেনারিওতে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে। ২০২২ সালে সবশেষ বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল কাতারে। সেখানকার লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা।