ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের নিরাপত্তায় ১১ হাজার কমান্ডো

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের নিরাপত্তায় ১১ হাজার কমান্ডো

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই অন্যরকম উত্তেজনা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দলের মধ্যকার খেলাগুলো ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বৈরথগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে বেশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দলের মহারণ দেখার সুযোগ নেই। তাই কালেভাদ্রে আসা দুই দলের ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করে। মাঠের লড়াই ছাপিয়ে যার ঢেউ আছড়ে পড়ে দর্শকদের মধ্যেও। আরো একবার সেই রোমাঞ্চের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব। আগামী ১৪ অক্টোবর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান।

বিশ্বকাপে অন্যতম হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুই দল নামার আগে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত আয়োজকরা। যারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা। পাকিস্তান দল ভারতে খেলতে আসা মানে নিরাপত্তা আলাদা গুরুত্ব পাবে। তার উপর এবার বিশ্বকাপে হামলার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে খালিস্তানপন্থি জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে। নিরাপত্তার কারণের জন্য পাকিস্তান দলকে এবার কম ভেনুতে খেলতে হচ্ছে। তাই ভারত পাকিস্তানের ম্যাচে নিরাপত্তার কোনো খামতি রাখছে না গুজরাট প্রশাসন। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দুই দলের মধ্যে ম্যাচে নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এনএসজি কমান্ডোদের। নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, ম্যাচে হামলার আশঙ্কা থাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং এনএসজি কমান্ডোদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। যদিও অহমেদাবাদে এই ধরনের ঘটনা অতীতে ঘটেনি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। তাও বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ঝুঁকি নিতে চায় না আয়োজকরা। এই জন্য অহমেদাবাদের স্পর্শকাতর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। অহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক এই খবরটি নিশ্চিত করেন। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল গান্ধীনগরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্শ সানঘাভি, ডিজিপি বিকাস সাহাই, পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে জিএস মালিক জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তাব্যবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কোনো দ্বিধা ছাড়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মালিক বলেছেন, ‘সাত হাজার পুলিশের সঙ্গে আমরা আরও চার হাজার নিরাপত্তারক্ষীকে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা রক্ষা ও সাম্প্রদায়িকভাবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োগ দেব। এই নিরাপত্তাকর্মীদের বাইরে এনএসজির তিনটি ‘হিট টিম’ এবং একটি ‘অ্যান্টি ড্রোন টিম’ নিয়োগ দেব। এ ছাড়া বোমা শনাক্তকরণ ও নিষ্কিয়করণের জন্য আরও ৯টি দলকে আমরা কাজে লাগাব।’ অবশ্য এটুকুই শুধু নয়, ম্যাচের দিন আইজি, ডিআইজিসহ চারজন সিনিয়র আইপিএস অফিসার এবং ২১ জন ডিসিপি র্যাঙ্কের অফিসার সবকিছু তদারকি করবেন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের যাবতীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন। এসবের বাইরে নিরাপত্তারক্ষায় আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন মালিক। এদিকে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মুম্বাই পুলিশ সম্প্রতি অজ্ঞাত এক প্রেরকের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আঘাত করার হুমকিসহ একটি মেইল পেয়েছে। যেখানে আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামকে উড়িয়ে দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। যারা মেইলটি পাঠিয়েছে, তারা ৫০০ কোটি রূপির পাশাপাশি শীর্ষ সন্ত্রাসী লরেন্স বিষ্ণয়ের মুক্তিও দাবি করেছে।

জিএস মালিক এসব হুমকি যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত