আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচটি অনেকটা টিকে থাকার লড়াই বাংলাদেশের। হোম ম্যাচ ১৭ই অক্টোবর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। দুই ম্যাচ মিলে বিজয়ী দল উঠবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ড অর্থাৎ গ্রুপপর্বে। সেখানে আগামী বছর অন্তত ৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ দলটির।
অ্যাওয়ে ম্যাচটি খেলতে গতকাল মালদ্বীপে পৌঁছেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। তবে মদ কাণ্ডে পাঁচ ফুটবলারের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি যে দলে কিছুটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেছে, যাওয়ার আগে তারই ইঙ্গিত বাংলাদেশ দলের এই স্প্যানিশ কোচের। দেশ ছাড়ার আগে কোচ বলেছেন, বিষয়টি ‘অপ্রত্যাশিত’। দলের তিন নির্ভরযোগ্য ফুটবলার আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণ ও শেখ মোরসালিন এবং অন্য দুজন রিমন হোসেন ও তৌহিদুল আলম সবুজ মদ বহন করতে গিয়ে ঢাকার বিমানবন্দরে আটকে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে চারিদিকে সমালোচনা কম হয়নি। বসুন্ধরা কিংসের পর বাফুফেও তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এরপর থেকে কোচ কাবরেরা এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। দেশ ত্যাগের আগে শুধু বলেন, ‘বলতে পারেন, এটা আসলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি। দুর্ভাগ্যজনকও। কারণ হলো এই দলটি জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনেক ভালো খেলে আসছিল। তবে এই পর্যায়ে এসে অন্য খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি দল তৈরি করতে হচ্ছে। তাদের সুযোগ করে দিতে হচ্ছে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে এতে যেন দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাদের অনুপস্থিতিতে। যারা এখন দলে আছে তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পারফরম্যান্স করে দেখাতে হবে। একটি দল হয়ে খেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।’
প্রস্তুতি নিয়ে কাবরেরা বলেন, ‘অবশ্যই এটা অনেক কঠিন প্লে অফ হতে যাচ্ছে। আমরা একে অন্যকে ভালোভাবে চিনি। দুই দলই সম্প্রতি চারটি ম্যাচ খেলেছে, যদি আমি ভুল না করে থাকি। তাই আমার কাছে মনে হয় সবার জন্য এটা দারুণ এক সময়। ড্রেসিংরুমে যা ভালো বোঝা যাবে। আমাদের দল তৈরি। আশা করছি আমরা প্রথম ম্যাচে ভালো ফল নিয়ে পরেরটির জন্য তৈরি হতে পারবো।’ যে ২৩ জন নিয়ে মালদ্বীপ গেছেন কাবরেরা, সেখানে ৩ গোলরক্ষকই নতুন। এশিয়ান গেমসে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানো মিতুল মারমাই হতে যাচ্ছেন কাবরেরার ‘নাম্বার ওয়ান’ জিকোর বিকল্প। বাকি দুই গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন ও মেহেদী হাসান শ্রাবণ। মালদ্বীপ সফরের জন্য বাংলাদেশ দল- গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, পাপ্পু হোসেন ও মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
