ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্বকাপে সাকিবের বিরল রেকর্ড

বিশ্বকাপে সাকিবের বিরল রেকর্ড

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান মাঠে নামা মানেই নতুন রেকর্ডের জন্ম। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অসংখ্য রেকর্ডে নিজের নাম বসিয়েছেন। ভারতে নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপে আরো একটি কীর্তি গড়লেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে বিরল এক রেকর্ডের মালিক হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রান করার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষস্থানে উঠে আসেন তিনি।

শীর্ষ আসনে উঠে আসতে গিয়ে সাকিব পেছনে ফেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্রিস গেইল ও শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সানাথ জয়সুরিয়াকে। ক্রিস গেইল ২০০৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৫টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ৩০ ম্যাচ খেলে সর্বমোট ১ হাজার ১৮৬ রান এবং ১৬টি উইকেট শিকার করেন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন শ্রীলঙ্কার ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত সাবেক অধিনায়ক সানাথ জয়সুরিয়ার।

তিনি ১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত মোট ৫টি আসরে ৩৮ ম্যাচ খেলে সর্বমোট ১ হাজার ১৬৫ রান ও ২৭ উইকেট সংগ্রহ করেন। সাকিব আল হাসান ২০০৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ৫টি আসরে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩১টি ম্যাচ খেলে ১ হাজার ১৬১ রান ও ৩৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত। ৮ ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফসেঞ্চুরিসহ ৬০৬ রান সংগ্রহ করেন। বল হাতে তুলে নেন ১১ উইকেট।

যা তাকে ২০১৯ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে নিয়ে গিয়েছিল। সেই আসরে ৬৪৮ রান করে ভারতের রোহিত শর্মা শীর্ষ রান সংগ্রহাকদের আসন দখল করেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৬৪৭ রান। বর্তমানে ক্রিকেট খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সাকিব আল হাসানের আশপাশে আর কেউ নেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডারের তালিকার শীর্ষ ৪০ এও নেই কেউ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব ১১৬১ রান নিয়ে খেলতে নামেন। গেইলকে টপকাতে প্রয়োজন ছিল ২৬ রানের আর জয়সুরিয়াকে টপকাতে প্রয়োজন ছিল পাঁচ রানের। সাকিব ২৪ রান করে পর পর তিন বলে দুটি ছয় ও একটি চার মারেন। শেষ পর্যন্ত সাকিব ৫১ বলে ২ ছয় ও ৩ চারের সাহায্যে ৪০ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে লাথামের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন। বর্তমানে বিশ্বকাপের ইতিহাসে শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের রান ১২০১ রান ও উইকেট সংখ্যা ৩৮টি। তার এ রেকর্ড যে আরো এগিয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা চলতি আসরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আরো ৬টি ম্যাচ খেলবে। সাকিব সুস্থ থাকলে সবক’টি ম্যাচে মাঠে নামবেন তা বলাই যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত