অবশেষে টনক নড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজের!

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুরুর দশকে যারা রাজত্ব করেছিল, সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলমান মেগা আসরটিতে দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। প্রথম তিন আসরেই তারা ফাইনাল খেলেছিল, এর মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তকমা জুটেছিল দু’বার। বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে জায়গা করে নিলেও, ভারতের টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয় ক্যারিবীয়রা। এমন দুরবস্থার জন্য তাদের অপরিপক্ব ঘরোয়া ক্রিকেট ও প্রশ্নবিদ্ধ দল গঠনকে দায়ী করা হয়। বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর এবার উইন্ডিজদের টনক নড়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা বড় অঙ্কের টাকা খরচ করার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে শুরু হচ্ছে সিজি ইউনাইটেড সুপার ফিফটি কাপের নতুন মৌসুম। এর আগেরদিন (সোমবার) ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী চার বছরে পুরুষ ও নারীদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ২৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করা হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সিডব্লিউআইয়ের সভাপতি ডক্টর কিশোর শ্যালোর বলেন, ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরি করতেই ক্রিকেটারদের এমন টাকা পয়সা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটার সঙ্গে অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট মিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও আমাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের মধ্যে ব্যবধান কমাতে পারবে বলে আশা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটা খেলোয়াড়দের ভালো পারফরম্যান্স করতে উদ্বুদ্ধ করবে। এটা খেলায় বিনিয়োগের একটা অংশ এবং তাদের জন্যও, যারা মাঠে পতাকা উড়িয়ে থাকে।’ শুরু হওয়া সিজি ইউনাইটেডের নতুন মৌসুমে অংশ নিচ্ছে ৮টি দল— কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস অ্যান্ড কলেজ, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, গায়ানা, জ্যামাইকা, বার্বাডোজ, লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস, উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ্যাকাডেমি। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হওয়া এই টুর্নামেন্টের সেরা চার দল নিয়ে হবে সেমিফাইনাল।

এরপর ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১১ নভেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। রানার্সআপ দল পাবে ৫০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি ৫৫ লাখ টাকা)। গ্রুপপর্বে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দলও পাবে ৫৫ লাখ টাকা।

ভারতের মাটিতে চলমান বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়েতে হয়েছিল বাছাইপর্ব। সেখানে গ্রুপপর্বে জিম্বাবুয়ের কাছে পরাজিত হয়েছিল ক্যারিবীয়রা। সেই সময়ই তাদের বিশ্বকাপ খেলা সংশয়ে পড়ে যায়। তবে তার ষোলোআনা পূর্ণতা দেয় স্কটল্যান্ড। বাছাইয়ের সুপার সিক্সের ম্যাচে তারা ড্যারেন সামির দলকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। ১০ দলের সেই লড়াই থেকে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস। ক্যারিবীয়দের বাদ পড়ার পেছনে সে সময় বোর্ডের অর্থসঙ্কট ও রাজনীতির বড় কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। এছাড়া দেশটির ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে গুরুত্ব কম দেওয়া, অপরিপক্ব দল গঠন ও ক্রিকেটারদের জয়ের মানসিকতায় ঘাটতির কথা ওঠে অসে। সেসব ত্রুটি কমানোর ইতোমধ্যে একটি পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।