সাকিবের চোট নিয়ে কেন এত লুকোচুরি

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঊরুর চোটে পড়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেই ইনজুরির পর থেকেই শুরু হয় সাকিবকে নিয়ে ধোঁয়াশা। সপ্তাহখানেক পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে এখনো ‘অন্ধকারে’ রয়েছে সবাই। সবার মনে একটাই প্রশ্ন সাকিবের চোট কতটা গুরুতর। চোট পাওয়ার পর দুই দফায় সাকিব তার চোটাক্রান্ত জায়গায় এমআরআই করিয়েছেন। দুইবারের স্ক্যান রিপোর্টও চলে এসেছে এরইমধ্যে। কিন্তু বোর্ডের কাছে এই রিপোর্ট যেন রাষ্ট্রীয় অতি গোপন কোনো নথি। যে কারণে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত লোকচক্ষুর অন্তরালেই রাখা হয়েছে সেই রিপোর্ট। চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং করার সময় বাঁ-ঊরুর সামনের পেশিতে চোট পান সাকিব। মাঠেই সেবা নিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে গেছেন তিনি। পরে নিজের কোটার ১০ ওভার বোলিংও করেন টাইগার দলপতি। যদিও সেদিন ম্যাচ শেষ না হতেই সাকিবকে যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। করানো হয় স্ক্যান, তবে সেই রিপোর্টের বিস্তারিত কিছুই জানায়নি বিসিবি। এরপর ভারত ম্যাচের আগে আবার স্ক্যান করানো হয় টাইগার অধিনায়কের। রিপোর্ট জানা না গেলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে নামা হয়নি সাকিবের। বাংলাদেশ দলের পরবর্তী ম্যাচ ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এই ম্যাচে কী দেখা যাবে সাকিবকে। সেই প্রশ্নের উত্তরও এখনো অজানা। কেননা বিসিবি থেকে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানায়নি। দুই এমআরআই রিপোর্ট চেপে রাখা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। আর কেনই বা এই লুকোচুরি নিয়ে মুখও খুলছেন না কেউ। গত বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলেননি সাকিব। আর সাকিবের না খেলার কারণ জানতে চাওয়া হলে এক গণমাধ্যমকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে সাকিবকে বিশ্রাম দিয়েছি। কারণ এই ম্যাচ খেলে চোট বেড়ে গেলে সমস্যা হবে। সে পুরোপুরি ফিট হয়ে পরের পাঁচ ম্যাচে খেললে ভালো।’ গত ১৪ অক্টোবর চেন্নাই থেকে পুনেতে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। এরপর তিন দিন বিশ্রাম শেষে গত মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলন করে। সেদিন নেটে লম্বা সেশন ব্যাট করেন সাকিব, ভাবা হচ্ছিল ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট তিনি। তার আগে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও আভাস দিয়েছিলেন খেলার।