বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জাগরণে যে নামটি সবার আগে আসে, সেটি হলো গোলাম রব্বানী ছোটন; যার কোচিংয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন সাবিনারা। তবে তিনি আর জাতীয় নারী দলের কোচ নন। মেয়েদের সাফজয়ী কোচ ছোটন এখন সেনাবাহিনীর পুরুষ দলের কোচ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে রুখে দিয়ে স্বাধীনতা কাপে শুরুতে দারুণ চমকও দেখাল তার দল। গতকাল শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে মোহামেডানের সঙ্গে ২-২ ড্র করেছে সেনাবাহিনী। এদিন গোছালো ও আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকে মোহামেডানকে চাপ দিতে থাকে সেনাবাহিনী।
নবম মিনিটে এগিয়েও যায় তারা। শাহরিয়ার ইমনের লম্বা পাস পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে হেডে ক্লিয়ার করেন গোলরক্ষক সুজন হোসেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ইমতিয়াজ রায়হান দারুণ জোরালো হেডে সবার মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন বল। ১৯তম মিনিটে মোজাফ্ফর মোজাফ্ফরভের ফ্রি কিকে নিখুঁত হেডে সমতা ফেরান আরিফ হোসেন। ঝাঁপিয়েও আটকাতে পারেননি সেনাবাহিনী গোলরক্ষক। মোহামেডানের সমতায় ফেরার স্বস্তি উবে যায় ২৪তম মিনিটে। আল-ইমরানের দূরপাল্লার শট ফিস্ট করে সুজন ফেরালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ফাঁকায় থাকা রঞ্জু শিকদার।
পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ২০১৪ সালে সবশেষ এই শিরোপার স্বাদ পাওয়া মোহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধে জাফর ইকবাল নামার পর মোহামেডানের খেলায় গতি বাড়ে। ৫৬তম মিনিটে ভালো সুযোগও পায় সাদা-কালো জার্সিধারীরা। কিন্তু সুলেমানে দিয়াবাতের ক্রসে দূরের পোস্টে জাফর ইকবাল লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে হতাশা বাড়ান। ১০ মিনিট পর জাফরের গোলেই সমতা ফেরায় মোহামেডান। ইমানুয়েলের হেড পাস থেকে সহজেই জাল খুঁজে নেন জাফর, আগেই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসায় গোলরক্ষক আলমগীর হোসেনের কিছুই করার ছিল না। গোললাইন থেকে ফেরানোর শেষ চেষ্টা করেছিলেন এক ডিফেন্ডার, সফল হননি তিনিও। বাকিটা সময় কোনো পক্ষই পায়নি জয়সূচক গোলের দেখা। তবে মোহামেডানের বিপক্ষে ড্র সেনাবাহিনীর জন্য জয়ের সমান!
