হাইকমিশনের নৈশভোজে উজ্জীবিত সাকিবরা

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

টানা হারে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলাদেশ শিবির। বিশেষ করে সবশেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। এই হারের ধাক্কা প্রবলভাবে লেগেছে দেশের ক্রিকেটে। তবে ক্রিকেটাররা নিজেদের বিষণ্ণ করে চার দেওয়ালে আটকে রাখছেন না। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার নৈশভোজের নিমন্ত্রণে হাজির হয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন তারা। গত রোববার রাতে বাংলাদেশ বাংলাদেশ দল, বিসিবির শীর্ষ কর্তা ও বিশ্বকাপ কাভার করতে আসা বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় হাইকমিশনার পক্ষ থেকে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ পুরো দলই উপস্থিত ছিল এই আয়োজনে। ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, জালাল ইউনুস। হাইকমিশনার ক্রিকেটাররা দুই, তিনটি টেবিলে ভাগাভাগি করে বসেন। কোচিং স্টাফরা তাদের স্ত্রীদের নিয়ে বসেন আলাদা করে। নিজেদের মধ্যে খোশগল্পে মেতে সময় পার করতে দেখা যায় তাদের। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে অনেকে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা যায়। হাইকমিশনের কর্মকর্তারা শহীদ মিনারের সামনেও পুরো দলের সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলেন। বিসিবির একজন পরিচালক বলেন, ‘এই সময়টুকু যদি ক্রিকেটারদের একটু ফুরফুরে করে তুলতে পারে তাহলে খুব ভালো। বাকি ম্যাচগুলোতে তারা যেন ভালো মনোবল নিয়ে নামতে পারে সেটাই চাইছি আমরা।’ দুপুরে হোটেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে বিসিবি সভাপতি জানান ক্রিকেটারদের সাহস ফিরিয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা, ‘এটা হয়তো আপনারা সবাই বোঝেন। তাই আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের সামনে তিনটা ম্যাচ আছে। এই তিনটা ম্যাচ কীভাবে আমরা ভালো খেলতে পারি, এটা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই এবং এটা করতে গেলে দুটা জিনিস লাগবে, ওদের সাহস ফিরিয়ে দেয়া। ওদের মধ্যে সাহসটা জাগানো। ওদের মধ্যে বিশ্বাসটা জাগানো যে ওরা পারবে এবং ওরা পারে।’ আজ কলকাতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে সাকিবরা। এ বিশ্বকাপে র‍্যাংকিংয়ের ওপর ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা নির্ভর করছে। চলতি বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের সেরা সাত দল ছাড়পত্র পাবে। শেষ তিন ম্যাচে অভাবনীয় পারফরম্যান্স না হলে বাংলাদেশকে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে শেষ করতে হবে। কারণ, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। যাদের বিপক্ষে নিকট অতীতে সাফল্যের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। এখন আর বিশ্বকাপ নয়, বাংলাদেশের মনোযোগ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ। যেখানে খেলতে না পারলে নিজেদের ওয়ানডের ভাগ্যাকাশে বড় দুর্যোগই নেমে আসবে।