সমস্যায় জর্জরিত কারাতে

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

হাংঝু এশিয়ান গেমসে গিয়ে কোচ ও ম্যানেজারের ঘুমকাণ্ডে খেলতে যেতে পারেননি কারাতেকা হাসান খান। এমন কাণ্ডে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) শোকজ নিয়ে ঝুলছে কারাতে ফেডারেশন। এবার সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে নিষিদ্ধ করেও হাসফাস করছেন কারাতের কর্তারা। কারণ ইতোমধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা কেন অবৈধ হবে না তার উপর রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট।

হাংঝুতে হাসান খানের খেলতে না পারার কারণে ব্যাখ্যা চেয়ে কারাতে ফেডারেশনকে শোকজ করেছে বিওএ। ১৯ অক্টোবর চিঠির উত্তর দেয়ার কথা বলা হলেও তা এখনো দিতে পারেনি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পদাক ক্যা শৈ হ্লা নিজেও এশিয়াড কাণ্ডের ব্যাখ্যা চেয়ে কোচ মোয়াজ্জেম হোসেন ও ম্যানেজার ইকবাল হোসেনের কাছে চিঠি দিয়েছেন, যার উত্তর পাননি সাধারণ সম্পাদক। এদিকে ইউরোপের দেশ মালটাসহ বিভিন্ন দেশে মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের মাধ্যমে খেলতে গিয়ে আদম পাচারের অভিযোগে ফেডারেশনের সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে ১৯ আগস্ট নিষিদ্ধ করেছেন ক্যা শৈ হ্লা। ওই দিনই এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারক বিশ্বমাধব চক্রবর্তী ও মো. আলী রেজার বেঞ্চ ওই নিষেধাজ্ঞা কেন অবৈধ হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করে ২৩ অক্টোবর। সেই রুলে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে রুল পেয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাকে নির্বাচন করতে না দেয়ার জন্যই এমন ঘৃণ্য পথে পা বাড়িয়েছে কারাতে ফেডারেশন। গত নির্বাচনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদে দাঁড়িয়েছিলাম। পরবর্তীতে সহ-সভাপতি পদ মেনে নিই একক প্যানেলের স্বার্থে। এবারও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে পারি ভেবে আগেই আমাকে নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করেছে ফেডারেশন। যা অনৈতিক প্রমাণিত হলো মহামান্য হাইকোর্টে।’