দিল্লির বিপজ্জনক বায়ুদূষণ ভাবাচ্ছে সাকিবদের

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুদূষণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত কয়েক দিন ধরেই বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে থাকছে দিল্লি। বন্ধ করা হয়েছে স্কুল। আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। দিনেও গাড়ি চালাতে হচ্ছে হেডলাইটের আলোতে। গতকাল শনিবার সকালের দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দেখা গেছে, ৫৩৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী।

বাতাসের এই মান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বা বিপজ্জনক। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানিয়েছে, এই মাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে আরও দুই দিন। গভীর উদ্বেগের মধ্যে আগামীকাল সোমবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সোমবার বিকাল ২টায় শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। ম্যাচের দিনও থাকছে প্রবল বায়ু দূষণের শঙ্কা। এই ম্যাচ নিয়ে কি কোন শঙ্কা থাকছে? আইসিসির মিডিয়া বিভাগের এক কর্মকর্তা জানালেন, আপাতত তেমন কিছু নেই। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ চলমান থাকবে। গত শুক্রবার অনুশীলনের কথা থাকলেও বায়ু দূষণের কথা ভেবে আর হোটেল থেকে বের হয়নি বাংলাদেশ দল। এদিন সন্ধ্যা থেকে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুশীলন ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু সকালেই সেটা বাতিল করা হয়। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, আবহাওয়ার অবস্থা বুঝেই তারা নিয়েছিলেন এই সিদ্ধান্ত, ‘নিশ্চিতভাবেই উদ্বেগজনক (আবহাওয়া)। কন্ডিশন কালকের থেকে আজকে বেশি খারাপ হওয়াতে আমরা সুযোগটি নেইনি আসলে (অনুশীলনের)। যেহেতু আরও দুটি দিন আছে ট্রেনিংয়ে। অনেকেরই কালকের ওয়েদারে বের হয়ে একটু কাঁশির সমস্যা হচ্ছে। এজন্য রিক্স ফ্যাক্টর তো থাকছেই। শরীর যেন আবার খারাপ না হয়ে যায়। জানি না এটা আসলে বেটার হবে কি না। যদি হয় তো খুব ভালো। না হলে এডাপ্ট করতেই হবে। যেহেতু ৬ তারিখ খেলা আমাদের। চাই যে ছেলেরা পুরোপুরি ফিট থাকুক। পরের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি টোয়েন্টির আগেও দিল্লিতে বায়ু দূষণ জাগিয়েছিল শঙ্কা। মাস্ক পরে ওয়ার্মআপ করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারকে। তবে পরে সময়মতোই হয় ম্যাচ। গতকাল শনিবার পর্যন্ত দিল্লির আকাশ ছিল ধোঁয়াশায় ভরপুর। পরিস্থিতি বিবেচনায় দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রায়কেও নিয়মিত ব্রিফ করতে হচ্ছে। তার দপ্তরের পক্ষ থেকে এদিন কী ধরনের গাড়ি বাইরে বের করা যাবে, তার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে গত বেশ ক’বছর ধরে পরিচিত দিল্লির মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধার্থ বান গুপ্তে বলেন, ‘আমি বছরের এই সময়টায় দিল্লির বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। ক’দিন পর পরিস্থিতি আরো বাজে হবে। ওই সময় আমি নিশ্চিতভাবে দিল্লি থাকব না।’ জানা যায় দিল্লির আশপাশের কিছু রাজ্য ও দিল্লি রাজ্যের কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় ফসলের নাড়া পোড়ানো হয় এই সময়ে।

একর একর জমিতে পুড়তে থাকার নাড়ার ধোঁয়ার কুণ্ডলি এসে জমা হয়ে যায় ভারতের রাজধানী শহরে। কয়েক দিন পর দীপাবলি শুরু হলে পটকা, আতশবাজিও তৈরি করবে বায়ুর নাজুক পরিস্থিতি।