‘গাজায় নির্দয় শিশুহত্যা বন্ধ করতে হবে’

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইতিহাসের সবচাইতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। দিনরাত নির্বিচার বোমাবর্ষণ চলছে। ধসে পড়েছে শত শত বাড়ি ও ভবন। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে অগুনতি মানুষ। হাসপাতালে লাশের সারি। আশ্রয় নেয়ার জায়গা নেই। চিকিৎসাসামগ্রীর তীব্র সংকট। বিদ্যুৎ নেই। দখলদারদের লাগাতার হামলায় যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। যেখানে নিহতদের বড় একটা অংশ শিশু। সেখানকার জীবিত হাজার হাজার শিশুর বেদনাবিধুর আঁতকে ওঠা মুখের চিত্র নিয়ে ভাবতেও কষ্ট হয়। তাদের জন্য মন কাঁদছে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের। নির্দয়ভাবে শিশুহত্যা বন্ধে তিনি বিশ্বনেতাদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে প্রথম ইসরাইলের ওপর হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপর ইসরাইলি সেনাদের টানা হামলায় অন্তত ৯ হাজার ২২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে বড় একটা অংশই শিশু। অন্যদিকে, ইসরাইলে হামাসের হামলায় ১৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। গাজার পরিস্থিতিতে ব্যথিত ইরফান পাঠান। বর্তমান এই ধারাভাষ্যকার নিজের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে লিখেন- ‘প্রতিদিন গাজায় ১০ বছরেরও কম বয়সি নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু গোটা বিশ্ব এখনও চুপ। ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি শুধু এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারি। তবে সময় এসেছে, বিশ্বের সকল নেতাকে একজোট হতে হবে। এই নির্দয় শিশুহত্যা বন্ধ করতে হবে।’ এর আগে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিশ্বকাপের ম্যাচ জিতে উৎসর্গ করেছিলেন গাজার সাধারণ মানুষকে। ওই সময় তিনি লিখেছিলেন- ‘এই জয় গাজার ভাইবোনদের জন্য। জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি। যদিও এটা গোটা দলের কৃতিত্ব। বিশেষ করে আবদুল্লাহ শাফিক এবং হাসান আলি কাজ সহজ করে দিয়েছে। দুর্দান্ত আতিথেয়তা এবং সমর্থনের জন্য হায়দরাবাদের মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’ এছাড়া ক্রিড়াঙ্গনের নানা প্রান্ত থেকে ফিলিস্তিনে চলমান ঘটনার প্রতিবাদ ও সমালোচনা চলে আসছে। অনেকে আর্থিকভাবে তাদের পাশেও দাঁড়াচ্ছেন। কেউবা ধারাবাহিক দাবি তুলে আসছেন চলমান এই যুদ্ধ থামানোর জন্য।