৫ বছরের প্রণয়কে পরিণয়ে রূপ দিলেন হকি তারকা বাবু

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিয়ে করলেন বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের তারকা ডিফেন্ডার, বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী এবং গত বছর এশিয়ান গেমস বাছাইপর্বে জাতীয় হকি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানাধানী পানিশাইল এলাকার সন্তান রেজাউল করিম বাবু। গতকাল শুক্রবার জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন তিনি।

কনে আশুলিয়া (বিকেএসপি, জিরানী) সাভারের মেয়ে আতিয়া ইবনাহা আঞ্জুমান। বর-কনে দুইপক্ষের আত্মীয়, বন্ধু-স্বজন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়, শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিতিতে শুক্রবার বিকেএসপির কনভেনশন হলে এ বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আজ হবে বাবু-আঞ্জুমানের বিবাহোত্তর সংর্বধনার অনুষ্ঠান। বরের বড় বোন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর (কাশিমপুর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১, ২, ৩) পারভীন আক্তারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। দীর্ঘ ৫ বছরের প্রণয়কে (ভালোবাসা) পরিণয়ে রূপ দিলেন বাবু-আঞ্জুমান। এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে দুজনের প্রথম দেখা।

সেখান থেকে ভালোলাগা-ভালোবাসার শুরু। প্রথম দেখাতেই আঞ্জুমানের প্রেমে পড়ে যান বাবু। ভালোলাগার কথা গোপন রাখেননি। নিজেদের পছন্দের কথা দুই পরিবারকে জানানোর পর দুজনের চারহাতকে মিলিয়ে দিলেন তাদের পরিবার। রেজাউল করিম বাবুর নববধূ আঞ্জুমান সাভার ইউনির্ভাসিটি কলেজে ইংরেজিতে সম্মান প্রথম বর্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। অন্যদিকে হকি খেলার পাশাপাশি বাবুও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ণরত। তবে খেলার চাপে নিজে পড়াশুনা ঠিকঠাক না করলেও স্ত্রীর পড়াশোনাতে কোনো আপত্তি নেই। বিয়ের পরও আঞ্জুমান পড়াশুনা চালিয়ে যাবেন বলে জানান রেজাউল বাবু। এ ব্যাপারে বাবু আরো বলেন, ‘আমার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী যেহেতু সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আমি চাইব সে যেন লেখাপড়া কন্টিনিউ করে। কারণ শিক্ষিত জাতি গঠনে একজন শিক্ষিত মায়ের কোনো বিকল্প নেই। সে লেখাপড়া শিখলে তার সন্তানরা অর্থাৎ আমাদের আগামী প্রজন্ম সুশিক্ষিত হিসেবে সমাজে গড়ে উঠবে।’ জীবনের নতুন অধ্যায় অর্থাৎ বিয়ে প্রসঙ্গে বাবু বলেন, নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছি। কিছুটা নার্ভাস, আবার আনন্দও লাগছে। সাবালক সব ছেলে-মেয়েই এই দিনটির স্বপ্ন দেখেন। আমিও দেখেছি। যেদিন থেকে আঞ্জুমানের সঙ্গে পরিচয় সেদিন থেকেই তাকে স্ত্রী হিসেবে মনে মনে ভেবে রেখেছি। আজ থেকে জীবনের সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি আনন্দিত। সবাই আমাদের নতুন জীবনের জন্য দোয়া করবেন। যেন আমরা সুখে-দুখে আমৃত্যু কাটাতে পারি।’ হকি খেলা সম্পর্কে মোটেও ধারণা ছিল না আঞ্জুমানের। বাবুর সঙ্গে জানা-পরিচয়ের পর থেকে হকির খোঁজ রাখা শুরু করেন।

এখন নাকি খেলাটা ভালোই বোঝেন। খেলোয়াড়কে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়া-বিয়ে করা প্রসঙ্গে আঞ্জুমান জানান, ‘বাবু জাতীয় হকি দলের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। আর এটা আমি প্রথমে পত্রপত্রিকা পড়ে জেনেছি। এরপর তো দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাছাড়া গত বছর ফ্রাঞ্চাইজি হকি লিগে বাবুদের টিম একমি চট্টগ্রাম চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই দলের অধিনায়ক এবং আইকন খেলোয়াড় ছিলেন বাবু। টিভিতে আমি সেসব খেলা দেখেছি। আগে আমি হকি খেলাটা মোটেও বুঝতাম না। এখন অনেকটাই বুঝি। আমি বলব আমি শুধু দেশের একজন সেরা হকি খেলোয়াড়কেই বিয়ে করিনি, সেরা একজন মানুষকে, ভালো একজন মানুষকে বিয়ে করেছি। সবাই আমাদের নতুন জীবনের জন্য দোয়া করবেন। যেন আমরা সুখী হতে পারি।’ দেশজুড়ে বাবুর অনেক ভক্ত-সমর্থক, প্রিয়জন। বিয়ে করে নতুন জীবনে পা রেখেছেন। নিজের ভক্ত-প্রিয়জনদের উদ্দেশ্য কী বলবেন- এমন প্রশ্নে বাবু বলেন, ‘আমার আগের জীবনটা একরকম ছিল; এখন আমি নতুন একটা জীবনে পা রেখেছি। বিয়ে মানেই জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা। আমার নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। আমিও সবার জন্য দোয়া করি। সবাই ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক।’