অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত দাবি শান্তর

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

চোটাক্রান্ত নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত দাবি করেছেন তিনি। ২৫ বছর বয়সি শান্ত এবারের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত শনিবার পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপকক্ষে ৮ উইকেটের পরাজয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, বিশ্বকাপ শেষে স্থায়ীভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংকালে বাম হাতের তর্জনিতে চোট পাওয়ায় সাকিবের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তাই আবারো অধিনায়কের দায়িত্ব পড়ে শান্তর কাঁধে। অধিনায়কত্ব নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবারই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বলতে পারি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে আমি প্রস্তুত। সেই সুযোগ যদি পাই তবে অবশ্যই নিজেকে প্রমাণে প্রস্তুত আছি। এটা যেহেতু আমার প্রথম বিশ্বকাপ, এখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। এই ধরনের পরিবেশে খেলতে পারার অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে আমাকে সহযোগিতা করবে।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে এবারের টুর্নামেন্টে ৮ উইকেটে সর্বোচ্চ ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

কিন্তু তারপরও নয় ম্যাচে সপ্তম পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয় টাইগাররা। মিচেল মার্শের অপরাজিত ১৭৭ রান পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের জয়কে সহজ করে দেয়। তবে শান্ত (৪৫) ও মাহমুদউল্লাহ (৩২) উভয়ই মার্নাস লাবুশেনের রান আউটের শিকার না হলে ম্যাচের চিত্র হয়তো ভিন্ন হতে পারতো।

ওই সময় উভয় ব্যাটারই বেশ ছন্দে ছিলেন। শান্ত বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে দুটি রান আউটই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। মিডল ওভারে আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। সব মিলিয়ে আমি বলবো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে একটি দল হিসেবে আমরা খেলতে পারিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বমানের বোলিংয়ের বিপরীতে আমরা ৩০০’র বেশি রান করেছি। দুটি রান আউটের শিকার না হলে মিডল ওভারে বড় পার্টনারশিপ গড়ে উঠত। তাহলে দলীয় স্কোর হয়তো আরো বড় করতে পারতাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা বিশ্বকাপে একটি দল হিসেবে ভাল ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমাদের ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আরো উন্নতি করতে হবে। কী ভুল হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে আরো কাজ করতে হবে।’