অস্ট্রেলিয়াকে সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছে না জামাল ভূঁইয়ারা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলে অস্ট্রেলিয়া আর বাংলাদেশের মধ্যে তফাৎ যোজন যোজন। ইতিহাস-ঐতিহ্য, শক্তি-সামর্থ্য কিংবা সাফল্যের বিচারে অস্ট্রেলিয়ার ধারেকাছেও নেই লাল সবুজের ফুটবল। ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বিশাল ফারাক। যেখানে অস্ট্রেলিয়া ২৭ আর বাংলাদেশ আছে ১৮৩ তম স্থানে। অস্ট্রেলিয়া নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলে। আর বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বাছাই পর্বে খেলে। ২০১৮ সালের পর ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়েও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একই গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। সেই সূত্রে আজ মেলবোর্নে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

আগের চেয়ে বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দল আরো শক্তিশালী। কিন্তু তারপরও ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া দলটিকে এগিয়ে রাখলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফুটবল খেলছে অস্ট্রেলিয়া। যার স্পষ্ট প্রভাব ফিফা র‍্যাংকিংয়ে। বর্তমানে ২৭ নম্বরে রয়েছে তারা। গত বছর কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল এই দলটি। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নকআউট পর্বের সেই ম্যাচে ১-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষদিকে পাওয়া দারুণ কিছু সুযোগের একটিও কাজে লাগাতে পারলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারত। তারপরও বর্তমান দলের চেয়ে ২০১৫ সালের দলকে এগিয়ে রাখার যথেষ্ট কারণও দেখিয়েছেন জামাল। সেই অস্ট্রেলিয়া দলে খেলতেন টম কাহিল, অ্যারন ময়, ম্যাসিমো লুওঙ্গো, ম্যাথু লেকিদের মতো তারকা খেলোয়াড়রা। তখন ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে দাপটের সঙ্গেই খেলতেন তারা। বর্তমান দলটি ভালো খেললেও ইউরোপের শীর্ষ লিগের খেলোয়াড় নেই। অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, ২০১৫ সালে আমরা যেই দলের বিপক্ষে খেলেছি ওই দলে অনেক হাই প্রোফাইল খেলোয়াড় ছিল। আর এই দলে কেউ টপ ক্লাবে খেলে না, তবে তারা ভালো লিগে খেলছে, স্কটিশ লিগ, চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০১৫ সালে ওদের অনেক খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে। যদি আমাকে বেছে নিতে হয় আমি ২০১৫ সালের দলের কথাই বলব।’ বর্তমান বাংলাদেশ দলও অনেক এগিয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘২০১৫ সালের তুলনায় আমাদের ভালো কাঠামো রয়েছে, আগের চেয়ে অনেক গোছানো। কোয়ালিটির দিক থেকেও আমাদের আগের চেয়ে অনেক ভালো কোয়ালিটি এই দলে রয়েছে এবং যেটা বলেছি ভালো কাঠামো রয়েছে। আমরা জানি আমাদের কী চাই, আমি জানি আমাদের কী করতে হবে। আমরা আমাদের দুর্বলতা ও শক্তির দিকগুলো জানি। আমার জন্য এটাই বড় পার্থক্য।’ সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই লেগেই বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দুই লেগ মিলিয়ে গোল হজম করেছিল ৯টি। দিতে পারেনি একটিও। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ০-৫ গোলে হারের পর ঘরের মাঠে ০-৪ গোলের ব্যবধানে হারে জামালরা। এদিকে অস্ট্রেলিয়াতে জামালরা পা রাখার পর থেকে তাদের অনুশীলন দেখতে মাঠে ভিড় জমাচ্ছে সেখানে থাকা বাংলাদেশিরা। মাঠের লড়াইয়েও দলকে উজ্জীবিত করতে গ্যালারিতে থাকবে তাদের সরব উপস্থিতি। তাদের ভালো কিছু উপহার দেওয়ার তাড়না অনুভব করছেন জামাল। ‘আমরা বিশ্বের যেখানেই খেলি, যে দেশেই খেলি, বাংলাদেশী সমর্থকরা সত্যি বলতে আমাদেরকে আনন্দ দেয়। আমরা জানি, তারা আমাদের সমর্থন দেবে এবং সম্ভাব্য সবকিছু করবে আমাদের আরেকটু বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাতে। তো, আমরাও যে ভালো দল, সেটা আমাদের দেখাতে হবে তাদের; বাংলাদেশ দলে ভালো কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে।’ সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দলের জন্য দোয়া করবেন, আমার সঙ্গে থাকো, দলের সঙ্গে থাকো, জানি ম্যাচটা কঠিন হবে, কিন্তু আমরা একটা ভালো ফল করতে চাই; ইনশাআল্লাহ।’