এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক

জিব্রাল্টার জালে ফ্রান্সের ১৪ গোল

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

গোলের খেলা ফুটবল। গোলই এখানে শেষ কথা। তাই বলে ১৪ গোল! ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে ফ্রান্স। গত শনিবার নিসে জিব্রাল্টার জালে গুনে গুনে ১৪টি গোল করেছে ফরাসি ফুটবলাররা। এই প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান দল বিশ্বকাপ বা ইউরার বাছাইপর্বে ১৪ গোল করল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফ্রান্সের আগের রেকর্ড জয়টি এসেছিল ১৯৯৫ সালে, আজারবাইজানের বিপক্ষে ১০-০ গোলে। রেকর্ডের এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল উপহার দিয়েছেন অলিভিয়ে জিরু ও কিংসলে কোমান।

একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন মার্কাস থুরাম, ওয়ারেন জাইরে-এমেরি, জোনাথন ক্লাউস, ইউসুফ ফোফানা, আদ্রিওঁ রাবিও ও উসমান দেম্বেলে। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। এদিন ম্যাচের শুরুর দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া জিব্রাল্টার একদমই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। অসহায় হয়ে যেন অপেক্ষায় ছিল, কখন ম্যাচ শেষ হয়। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে সফরকারীদের ডিফেন্ডার সান্তোসের আত্মঘাতী গোল দিয়ে এই গোল উৎসবের শুরু। পরের মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন থুরাম। দলের রেকর্ডের ম্যাচে ষোড়শ মিনিটে জালে বল পাঠিয়ে ১৯১৪ সালের পর ফ্রান্সের সবচেয়ে কম বয়সি স্কোরার হওয়ার কীর্তি গড়েন জাইরে-এমেরি। পিএসজির ১৭ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার অবশ্য মাঠে নেমেই আরেকটি ইতিহাস গড়ে ফেলেন; ওই ১৯১৪ সালের পর থেকে তিনি এখন ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ও। তরুণ এই মিডফিল্ডারের সুখকর অভিষেক অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দুই মিনিট পরই সান্তোসের ফাউলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন জাইরে-এমেরি। আত্মঘাতী গোলের পর লাল কার্ড দেখে দলের বিপদ আরো বাড়ান সান্তোস। এমবাপে তার প্রথম গোলটি করেন ৩০তম মিনিটে, পেনাল্টি থেকে। পরের সাত মিনিটে স্কোরলাইনে নাম লেখান ক্লাউস, কোমান ও ফোফানা। দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল করেন বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড কোমান। এই গোলের আগে-পরে জালের দেখা পান রাবিও ও দেম্বেলে।

৭৪ ও ৮২তম আরও দুবার লক্ষ্যভেদ করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপে। তার তৃতীয় গোলটি ছিল অসাধারণ; গোলরক্ষককে পোস্ট ছেড়ে আসতে দেখে ৪০ গজ দূর থেকে গোলটি করেন পিএসজি তারকা। জাতীয় দলের হয়ে এমবাপের মোট গোল হলো ৪৬টি, অঁতোয়ান গ্রিজমানকে ছাড়িয়ে তিনি ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় বসলেন তৃতীয় স্থানে। পাঁচ গোল বেশি নিয়ে দুইয়ে আছেন সাবেক ফরোয়ার্ড থিয়েরি অঁরি। থুরামের বদলি নামা জিরু শেষ সময়ে বাকি দুটি গোল করেন। আগে থেকেই দেশটির সর্বোচ্চ স্কোরার এই স্ট্রাইকারের মোট গোল হলো ৫৬টি। চলতি বাছাইয়ে আগেই ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করা ফ্রান্স এই নিয়ে সাত ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতল। তাদের মোট পয়েন্ট ২১। দিনের আরেক ম্যাচে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারানো নেদারল্যান্ডস ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে।