সাকিবকে কী বার্তা দিলেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টানা ১০ জিতে ফাইনালে পা রেখেছিল রোহিত শর্মার দল। তবে ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শকের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী পরীক্ষায় ফেল করে ম্যান ইন ব্লু’রা। অজিদের চ্যাম্পিয়ন করার পথে ১৩৭ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছেন ট্রাভিস হেড। অথচ তারই কিনা বিশ্বকাপ খেলার কথা ছিল না। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে চোটে পড়েন হেড। হাত ভেঙে যাওয়ায় দল থেকে ছিটকে যান অজি এই ব্যাটার। তাই বিশ্বকাপে তার থাকাই নিয়েই অনিশ্চয়তা ছিল। এমনকি কবে নাগাদ তিনি ফিরবেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল। চোট আক্রান্ত হলেও ২৯ বছর বয়সি বাঁ-হাতি ব্যাটারকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে থেকে বাদ দেয়নি অজিরা। আসরের মধ্যভাগে তাকে পাওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছিল। আর অজি এই ওপেনারকে স্কোয়াডে রাখার মূল কৃতিত্ব অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের। এর পরের গল্পটা সবারই জানা। শুরু থেকে বেঞ্চে বসে কাটালেও তাসমানপাড়ের আরেক দেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম খেলতে নামেন তিনি। ধারণা করা হয়, সেদিনও তিনি শতভাগ ফিট ছিলেন না। ৭৫ শতাংশ সুস্থতা নিয়েই ২২ গজে নামেন তিনি। এরপর অভিষেক ম্যাচেই ৫৯ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান হেড। এরপর সেমি ফাইনালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৮ বলে ৬২ রানের সঙ্গে দুটি উইকেটও নিয়েছিলেন হেড। আর ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের গল্প তো সবারই জানা। ১২০ বলে ১৩৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথ সহজ করে দেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সের পর ফাইনালের ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। অজি অধিনায়ক এবং কোচের সেদিনের নেয়া সিদ্ধান্তই দারুণ এই অর্জনের পেছনে ভূমিকা রেখেছে। এখানেই বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে অজি অধিনায়ক কামিন্সের পার্থক্য। বিশ্বকাপের আগে ওপেনার তামিম ইকবালকে দলেও নেওয়া নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত কোচ এবং অধিনায়কের সিদ্ধান্তেই দল থেকে তামিমকে বাদ দেয়া হয়। তামিমের বদলে লিটন দাস ও তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিমের ওপর বিশ্বকাপে আস্থা রেখেছিল টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের কাঁধেই ওপেনিং সামলানোর দায়িত্ব ছিল। তবে পুরো আসরজুড়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। অথচ সাকিব কিংবা কোচ হাথুরু চাইলেই তামিমকে দলে নেয়া যেত। তা না করে উল্টো তামিমের দায়িত্ববোধ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন সাকিব। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্টের পার্থক্য হলো- অজি টিম ম্যানেজম্যান্ট দলের ভালোর কথা, বিশ্বকাপ জয়ের কথা ভেবেছে। এজন্য চোটাক্রান্ত ক্রিকেটারকেও দলে রেখেছে তারা।