ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ধর্ষণকাণ্ডে ব্রাজিলিয়ান তারকার ৯ বছরের কারাদণ্ড দাবি

ধর্ষণকাণ্ডে ব্রাজিলিয়ান তারকার ৯ বছরের কারাদণ্ড দাবি

একটা সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা ফুটবলার ছিলেন দানি আলভেজ। সে সময় ব্রাজিলের জার্সিতে কিংবা ইউরোপের ক্লাব পাড়ায়, দানি আলভেজের মতো সৃষ্টিশীল রাইটব্যাক পাওয়া ছিল কষ্টকর। ক্যারিয়ারের লম্বা সময় পার করেছেন বার্সেলোনায়। এছাড়া পা রেখেছেন জুভেন্টাস, পিএসজির মতো শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবেও। তবে ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে খুব বাজেভাবেই ফেঁসে গেছেন দানি আলভেস। ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাজিলের এই তারকা ফুটবলার পেতে যাচ্ছেন বড় শাস্তি। ১১ মাস ধরে জেলবন্দি থাকা আলভেসের জন্য নয় বছরের কারাবাস দাবি করেছেন প্রতিপক্ষ আইনজীবী। একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে দেড় লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণও।

কাতারে ২০২২ বিশ্বকাপের পর ছুটিতে স্পেনের বার্সেলোনাতেই এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে সেই নারী দানি আলভেজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলারও অভিযোগ এনেছেন। আর এরই সূত্র ধরে এই মুহূর্তে জেলে বন্দি জীবন পার করছেন আলভেজ। আলভেস প্রথমে সেই তরুণীকে চিনেন না বলে দাবি করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করেন, যা হয়েছে উভয়ের সম্মতিতেই। তবে এখানেই বিপর্যয়ের শেষ না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, ব্রাজিলের এই সাবেক ফুলব্যাকের বিরুদ্ধে ৯ বছর কারাবাসের শাস্তি দাবি করেছেন স্পেনের কৌঁসুলিরা।

বার্সা ও পিএসজির সাবেক এই খেলোয়াড়ের কাছে ভুক্তভোগীর জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে। আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি দেখে খবরটি প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। যদিও শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ৪০ বছর বয়সি এই তারকা। নিজেদের অন্তুরঙ্গতার কথা অবশ্য স্বীকার করে আলভেজ বলেছিলেন, অভিযোগকারীর সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতিতে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। শুরুতে অবশ্য এই নারীকে চেনার কথাও অস্বীকার করেছিলেন আলভেজ। জুনে প্রকাশিত বার্সেলোনাভিত্তিক সংবাদপত্র লা ভ্যানগার্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আলভেজ বলেন, ‘সাটন নাইটক্লাবের ভিআইপি এলাকার বাথরুমে সেই রাতে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে আমার সত্যিই পরিষ্কার মনে আছে। কি ঘটেছে এবং কি ঘটেনি। যেটি ঘটেনি তা হলো, ওই ঘটনার জন্য তাকে জোরাজুরি করা হয়নি।’ তবে এসব কথায় খুব একটা কাজ হয়নি। স্পেনের আইন অনুযায়ী বড় রকমের শাস্তিই পেতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের এই সাবেক ফুটবলার। স্পেনের আইন বলছে, অনলাইনে যৌন নির্যাতন থেকে ধর্ষণ অপরাধের জন্য আলাদা শাস্তির বিধান রয়েছে দেশটিতে। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের কারাবাসের শাস্তিও হতে পারে। এসব কাণ্ডের পর অবশ্য ক্যারিয়ারটাই একরকম শেষ দানি আলভেজের জন্য। গ্রেপ্তারের পরেই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ম্যাক্সিকান ক্লাব পুমা ইউএনএএম। ইউরোপের ফুটবলেও আর ফেরা সম্ভব না তার। সবমিলিয়ে হয়তো দানি আলভেজের শেষটা দেখেই ফেলেছে ফুটবল বিশ্ব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত