আরো ভালো কিছুর অপেক্ষায় তাইজুল

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০১৮ সালে তাইজুল ইসলাম প্রথম এমন কিছুর স্বাদ পেয়েছিলেন। এক টেস্টে ১০ বা তার বেশি উইকেট। সেবার সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে ১১ উইকেট তার ক্যারিয়ারের সেরা। ৫ বছর পর সেই সিলেটেই আবার টেস্টে ১০ উইকেট পেলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার ৬ উইকেট। ১১ উইকেট নিয়ে সেবার ম্যাচ জেতাতে পারেননি। এবার ১০ উইকেট নিয়ে শুধু জেতাননি, ম্যাচের নায়কও তিনি। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলকে জেতানোয় খুশিতে আত্মহারা তাইজুল। তবে বাঁ-হাতি স্পিনারের নজর আরো উঁচুতে। দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট জিততে পারলে তা হবে অভাবনীয় সাফল্য। সেই সাফল্যের চূড়ায় উঠতে চান তাইজুল। তার চোখ সেখানেই। সিলেট টেস্টের জয়ের নায়ক ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘যখন আপনি অনেক বড় কিছু পাবেন তখন উদযাপন সবসময়ই হয়। আমরা যে আজকে উদযাপন করিনি তা নয়। অবশ্যই আমরা উদযাপন করেছি, মাঠের মধ্যে বা ড্রেসিং রুমে সব জায়গাতেই। কিন্তু একটা জিনিস কি, আমরা ওটার (সিরিজ জয়) জন্যই অপেক্ষা করতেছি যেন আরো ভালো কিছু পাই।’ ঘরের মাঠে এর আগে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুইবারই বাংলাদেশ নিজেদের সেরা দল, সেরা ক্রিকেটারদের পাশে পেয়েছিল। এবার অনেকটাই তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে অভিজ্ঞতার বিরাট ঘাটতি ছিল। কিন্তু তাইজুল, মুশফিক, মুমিনুলরা সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন ভালোভাবেই। সাকিব ও তামিম নেই। তবে তারা যোগাযোগ করছেন বলেই জানালেন তাইজুল, ‘সাকিব ভাইয়ের সাথে কালকে ফোনে কথা হয়েছিল। সাকিব ভাই ফোন দিয়েছিল। তামিম ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। তামিম ভাইয়ের সাথে আমার রেগুলার কথা হয়। উনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার বড় ভাইয়ের মতো ট্রিট করি।’ সাকিব থাকলে ভালো পারফরম্যান্স দিয়েও তাইজুলকে কিছুটা আড়ালে থাকতে হয়। এখন সব লাইমলাইট তার দিকে। বড় দায়িত্বও তার কাঁধে। সেই দাঁয়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারছেন। বাঁ-হাতি স্পিনারের বিশ্বাস তার পরিবর্তে যারা পরে আসবে তারাও একই পথ অনুসরণ করতে পারবে, ‘প্রত্যেকটা খেলোয়াড় সারাজীবন খেলবে না। একটাই আমার আশা থাকবে যে, যখন আমি থাকবো না আমার জায়গায় যে আসবে সে পারফরম্যান্সটা করবে। যেই-ই আসুক যেন বাংলাদেশকে ভালো কিছু দিতে পারে।’ তাইজুলের অভিষেক ২০১৪ সালে। তার অভিষেকের পর তারচেয়ে বেশি উইকেট আর কেউ পাননি। ৪৩ বলে ৭৬ ইনিংসে তার উইকেট ১৮৭। মিরাজ ৪০ ম্যাচে ৬৯ ইনিংসে পেয়েছেন ১৫৩ উইকেট। এ সময়ে সাকিব ৩২ টেস্ট খেলেছেন। হাত ঘুরিয়েছেন ৫৫ ইনিংসে। উইকেট পেয়েছেন ১১১টি।