সিলেটে ‘টেস্ট পরীক্ষায়’ পাস অজি কিউরেটর

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত গামিনি ডি সিলভা। এই শ্রীলঙ্কান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পিচ কিউরেটর। বছরের পর বছর ঘরের মাঠে হয় স্পিন বান্ধব নয়তো অতি ব্যাটিং বান্ধব উইকেট তৈরি করেছেন তিনি, যা বারবার সমালোচনা ফেলেছে বাংলাদেশকে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দেখা মিলল প্রাণবন্ত এক উইকেটের। যেখানে হলো দারুণ এক টেস্ট ম্যাচ। হেরেও সিলেট স্টেডিয়ামের প্রশংসা করতে ভুললেন না নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, ‘সিলেটের মাঠ সুন্দর, কেবল ফলাফল আমাদের পক্ষে আসলো না’। তাছাড়া সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশগজ ইতিবাচক নজর কেড়ে নিল ক্রিকেটার, ব্রডকাস্টার, ভক্তদের। উইকেটে স্পোর্টিং ধরনই চোখে পড়ল আলাদাভাবে। এই উইকেট খুব অল্প সময়ে তৈরির পেছনে যিনি ভূমিকা রেখেছেন সেই টনি হেমিং খুব বেশি দিন হননি নিয়োগ পেয়েছেন বিসিবিতে। ৫৭ বছর বয়সি এই অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর বিসিবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে কাজ করছেন গত বছরের জুলাই থেকে। মাঠকর্মী থেকে শুরু করে পিচ কিউরেটর হিসেবে অভিজ্ঞতায় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৪০ বছর। টনি কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, পার্থ ও তাসমানিয়ায়। ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সারের মাঠ ওভালেও উইকেট বানিয়েছেন। উপমহাদেশে অভিজ্ঞতার ভান্ডারও বিশাল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইসিসি একাডেমি ও দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর ছিলেন। ওমান ক্রিকেট একাডেমিতেও কাজ করেছেন। গত শনিবার বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্টে শেষ দিনে আগ্রহ যায় তার দিকে। ‘মাঠকর্মীরা ব্যাটে-বলের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছে। এটা প্রতি ২৯ রানে ১ উইকেটের পিচ।’ হেমিং মনে করেন সবার জন্যই কিছু না কিছু রাখতে চেয়েছেন তারা, ‘সব বিভাগের জন্য একটা কিছু ছিলো। সবাই লড়াই করার সুযোগ পেয়েছে। এটাই ভালো টেস্ট পিচ। ফলাফল আসায় খুশি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভালো ক্রিকেট দেখা।’ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাটি পরামর্শক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে হেমিংয়ের। আইসিসির ক্রিকেট একাডেমি আর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রধান কিউইরেটর হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। হেমিং বাংলাদেশে মূল দায়িত্ব পালন করবেন নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পূর্বাচলের মাঠটির উইকেট তৈরি হবে তার পরামর্শে। সেই পরীক্ষার আগে সিলেট টেস্ট দিয়ে লেটার মার্কস তুলে রাখলেন এই অজি। বাংলাদেশের কাছে ১৫০ রানে হারার পরও উইকেট নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই কিউইদের। বেশ ভালো উইকেটের রায় দিয়েছেন তারা সবাই।