‘আমার কোনো অবদানই নেই সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের’

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নারী ফুটবলে অন্যতম সফল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। কিন্তু সাফ জয়ের পর বাফুফের চাকরি ছাড়েন তিনি। তারপর নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন দেশের অন্যতম শীর্ষ কোচ সাইফুল বারী টিটু। তিনি কাজ করছেন মাস চারেক হলো। তার অধীনে র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে ৮-০ গোলে হারিয়েছে সফরকারীদের। এমন বড় ব্যবধানে জয়ের পর পুরো কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের দিলেন কোচ টিটু। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টিটু বলেন, ‘আসলে আমার কোনো অবদানই নেই, বিন্দুমাত্রও না। পুরো কৃতিত্ব ওদের (খেলোয়াড়দের)। সাধারণত বেশ কয়েকটি গোলের পর একটু অন্যরকম ভাব আসে। কিন্তু ওরা প্রতিনিয়ত গোল করেই গেছে।’ ৭৫ মিনিটে ৬-০ স্কোরলাইন হওয়ার পর কোচ অনেক খেলোয়াড় বদলি করেছেন। সেই বদলি ফুটবলাররাও দুই গোল করেন। এটি বিশেষভাবে দেখছেন কোচ, ‘একজন বদলি ফুটবলার নেমে গোল করছেন এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন। এতে নির্দেশ করে দলটি বেশ ভালো।’ বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে কোচ হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। মাস ছয়েক আগে তিনি নারী ফুটবল থেকে দূরে। ব্রিটিশ ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিও নেই। গত চার মাস সাইফুল বারী টিটু কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। চার মাস সাবিনাদের অনুশীলন করিয়েছেন টিটু। নতুন কোচ প্রসঙ্গে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ‘স্যারকে প্রথমে বেশ রুড (কড়া) মনে হতো। পরে অবশ্য আমরা স্যারের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। স্যারের ক্লাব ও জাতীয় পর্যায়ে অনেক অভিজ্ঞতা। সেগুলো আমাদের যথেষ্ট কাজে লেগেছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাইফুল বারী টিটুর সঙ্গে বাফুফের চুক্তি। বাফুফের সাবেক ব্রিটিশ ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি আবার বাংলাদেশে আসতে পারেন। সাবিনাদের হেড কোচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে টিটুর সাবিনাদের সঙ্গে এখানেই পথচলা শেষ কি না- প্রশ্ন উঠেছিল ম্যাচণ্ডপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। এর উত্তরে টিটু বলেন, ‘আমার চুক্তি রয়েছে ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এরপরের বিষয় নিয়ে এখনো ভাবছি না।’