ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মিরপুরের উইকেট ‘রহস্যময়’ অনুমান করা কঠিন

মিরপুরের উইকেট ‘রহস্যময়’ অনুমান করা কঠিন

যে কৌশলে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ঘায়েল করেছে টাইগাররা, সেটা মিরপুরের শেরেবাংলায় খাটবে কি না তা নিশ্চিত নন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। কারণ, এখানকার উইকেট ‘রহস্যময়’, এখানে কী ঘটবে তা আগে থেকে অনুমান করা যায় না! মিরপুর এমনিতে ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের স্বর্গ। এখানে টেস্টে পেসার ছাড়াও খেলার একাধিক নজির আছে বাংলাদেশের।

অতি টার্নিং, মন্থর আর উঁচু-নিচু বাউন্সের কারণে ব্যাটারদের কাজ এখানে বরাবরই বেশ কঠিন। তবে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই আজ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজের প্রথমটিতে জিতে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তো কেমন হবে একাদশ? হাথুরুসিংহে জানান বাংলাদেশের শক্তি আর নিউজিল্যান্ডের দুর্বলতার ভিত্তিতেই নির্বাচন করা হবে একাদশ। তার কথায় স্পষ্ট, আবারও স্পিন শক্তি নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘খুব বেশি তথ্য দিতে চাই না। কারণ নিউজিল্যান্ড অবশ্য এটা জেনে যাবে। ‘এটা পিচের অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। আর অবশ্যই আমাদের শক্তিমত্তার ওপরও। যেমনটা আপনি বললেন, সিলেটে আমরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি। পাঁচ দিনের প্রতিটিতেই আমরা আধিপত্য বিস্তার করেছি।

ভালোভাবে লড়াই করেছি। সেখানেও আমরা আমাদের শক্তি আর সিলেটের কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করেই দলটা বানিয়েছিলাম। আর মিরপুরের কথা আপনি জানেন, কখনো কখনো মাঠে নামার আগে আপনি বুঝবেন না পিচ কেমন আচরণ করতে যাচ্ছে, এমনকি কয়েকটা সেশন না খেললে বোঝা যায় না (উইকেট কেমন)। যেহেতু এখানে অনেক বেশি খেলা হয়... আমার মনে হয় না বিশ্বের আর কোনো মাঠে এত বেশি খেলা হয়, যতটা এই মাঠে হয়ে থাকে। তো আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।’ মিরপুর শেরবাংলার উইকেটের আচরণ নিয়ে ধন্দে থাকার কথা ক্রিকেটাররাও নানা সময়ে বলেছেন। বছরের পর বছর এখানে খেলেছেন, এমন ক্রিকেটাররাও সবসময় উইকেট দেখে বুঝে উঠতে পারেন না সম্ভাব্য আচরণ। এই ২২ গজে ধোঁকা খাওয়ার নজিরও কম নেই। এবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগের দিন মিরপুরের উইকেট নিয়ে সেই অনিশ্চয়তার কথাই বললেন হাথুরুসিংহে। মিরপুরে সমস্যা হলো, কোচ কিংবা দল উইকেটের সম্ভাব্য আচরণ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। সিলেটের উইকেট স্পিন-বান্ধব থাকলেও সেটা একতরফা ছিল না। পেসারদের জন্যও যেমন সেই উইকেটে সহায়তা ছিল, তেমনি স্কিল ও নিবেদন দেখাতে পারলে যে রান করা সম্ভব, সেটিও দেখা গেছে। সেই উইকেট দারুণ প্রশংসাও আদায় করে নিয়েছে। এমনকি নিউ জিল্যান্ড দলের প্রতিনিধি হয়ে যারাই সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন, উইকেট ‘ভালো’ বলে রায় দিয়েছেন সবাই। মিরপুরেও স্পিনারদের সহায়তা যথেষ্টই থাকার কথা। তবে সম্ভাব্য আচরণের খুঁটিনাটি নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে বলেই হয়তো একাদশে বড় পরিবর্তন হবে না বলে জানালেন কোচ। ‘আপনারা যেমন জানেন, মিরপুরের উইকেট মাঝেমধ্যে বুঝে ওঠা কঠিন, এমনকি গোটা দুয়েক সেশন খেলার আগ পর্যন্ত (বোঝা যায় না)। এত বেশি ব্যস্ততায় থাকতে হয় এই উইকেটকেৃ আমার মনে হয় না বিশ্ব ক্রিকেটে আর কোনো ভেন্যুতে এত খেলা হয়। আমরা তাই ধারণা করতে পারছি না, কী হবে এখানে। আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।’ নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদিও উইকেট সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে অভিজ্ঞ এই পেসার বলেছেন, উইকেট স্পিন-বান্ধব হবে বলেই ধারণা করছেন তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত