নিউজিল্যান্ডে এবার ইতিহাস পাল্টাতে চান শান্ত

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

নিউজিল্যান্ড সফরে বরাবরই বাংলাদেশের প্রত্যাশা আগের বারের চেয়ে উন্নতি করা। কিন্তু প্রতিবারই হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। গত বছর একটি টেস্ট জিতলেও কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডে জয় এখনও অধরাই রয়ে গেছে। এবার কি পাল্টাবে সেই ব্যর্থতার ইতিহাস? ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের দিন গতকাল শনিবার বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর। আজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডানেডিনে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মাঠে ১৫ ওয়ানডের সবকটিতে হারের তেঁতো স্বাদ মিলেছে বাংলাদেশের। ২০১৫ বিশ্বকাপে মুখোমুখি সাক্ষাতেও ঘরের মাঠে জয়ী হয়েছিল কিউইরা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১৬ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের ঝুলি শূন্য। টি-টোয়েন্টিতেও একই বেহাল দশা লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। তাসমান সাগর পাড়ের দ্বীপ দেশটিতে স্বাগতিক দলের বিপরীতে ৯বার মাঠে নেমে প্রতিবারই জুটেছে পরাস্ত হওয়ার দুঃসহ অভিজ্ঞতা। সাদা বলের দুই সংস্করণে নিউজিল্যান্ডকে তাদের আঙিনায় হারানোর আনন্দ জানা নেই বাংলাদেশের। এই দফার সফরে সেই পরিসংখ্যান বদলে দিতে আশাবাদী শান্ত। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এর আগে যতবারই (নিউজিল্যান্ডে) এসেছে (বাংলাদেশের) কোনো দল, তারা (এখানে সাদা বলের কোনো ম্যাচে জয়লাভ) করতে পারেনি। তবে কোনো না কোনো দলকে তো করতে হবে। আমার মনে হয়, এই দলটার সেই সামর্থ্য আছে। সবাই বিশ্বাস করে যে এই বছর আমাদের ভিন্ন ফল হবে।’ নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া ভিন্ন হলেও সেটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে রাজি হননি বাংলাদেশের দলনেতা শান্ত। গত ৬ বছরের মধ্যে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেখানে খেলছেন তারা। তাই কন্ডিশন মোটেও অচেনা নয়, ‘কন্ডিশন তো একটু ঠান্ডা। তবে আমার মনে হয়, এই অজুহাত আমরা কেউই দিতে চাই না। কারণ এর আগেও এখানে আমরা এসেছি। তো এই সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। আশা করছি, কালকে খুব বেশি সমস্যা হবে না।’

উল্লেখ্য, ওয়ানডেতে ১০ বার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ। এর আটটিই এসেছে নিজেদের মাঠে। বাকি দুটি জয় তারা পেয়েছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে ও ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিউইদের হারিয়ে ছিল টাইগাররা।