নির্বাচক হতে চান আশরাফুল যা বললেন পাপন

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক ঘটন-অঘটনের নায়ক-খলনায়ক তিনি। এক সময় বিশ্বের কনিষ্ঠতম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন। ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়কও। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িয়ে খলনায়ক বনে যান। তারপর দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার খরগ চেপে বসে তার মাথায়। চলে যান ক্রিকেটের বাইরে। কার কথা বলছি এতক্ষণে নিশ্চয় আন্দাজ করতে পেরেছেন। হ্যাঁ, মোহাম্মদ আশরাফুলের কথাই বলছি। দেশের অন্যতম প্রতিভাবান এক ক্রিকেটার হিসেবে আগমন ঘটেছিল তার। কিন্তু অকালে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। তবে সুযোগ রয়েছে অন্য ভূমিকায় নিজের পারফরম্যান্স দেখানোর। আর সেই সুযোগই নিতে চান আশরাফুলে। ভারতের অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে টি স্পোর্টসের বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সে সময় বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি জানিয়েছিলেন, সুযোগ আসলে সিলেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিতে চান। এদিকে নির্বাচক প্যানেলেও বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। নির্বাচক হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার। চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে তাদের চুক্তির মেয়াদ। যে কারণে ঘুরেফিরে আসছে আশরাফুলের নাম। এ বিষয়টি নিয়ে গতকাল শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জানিয়েছেন যে কেউই তাদের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করতে পারবে। পাপন বলছিলেন, ‘দেখেন, আমাদের একটা কমিটি আছে। ওই কমিটি আমাদের কাছে নাম প্রস্তাব করবে। উনারা দেখবে কারা কারা আগ্রহী এবং ওদের প্রেপারড। ওটা নিয়ে বোর্ডে পেশ করে ওখান থেকে সিলেক্ট করা হবে। আসলে কে হবে বা হবে না এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে কারোর যদি ইচ্ছা থাকে, সে প্রকাশ করতে পারে কোনো সমস্যা নেই।’ কবে নাগাদ নতুন নির্বাচকের নাম প্রকাশিত হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বললেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা ৭ (জানুয়ারি) তারিখ, আমি ৮ তারিখের আগে যেহেতু ঢাকায় ফেরত আসতে পারব না। কারণ আমি চলে যাচ্ছি একেবারেই ইলেকশন শেষ করে রেজাল্টের পরই আসতে হবে। তার পরপরই আমরা বোর্ড মিটিং দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব। যত দ্রুত নেয়া যায়। পারলে দুই তিনদিনের মধ্যেই। বিপিএলের মধ্যেই হয়তো।’ এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘দেখুন, আপনাদের জন্য বলছি আরকি। নির্বাচক প্যানেল বদলাতে পারে, এটা তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কথাটা হচ্ছে, আমি আপনাদের বিশ্বকাপের আগে প্রশ্নগুলো করেছিলাম যদিও কেউ উত্তর পাঠায়নি। তাদের কাছে চেয়েছিলাম যে আপনাদের পছন্দের স্কোয়াডটা বলেন। নির্বাচকের কাজ যদি খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয় আমি যেভাবে দেখি। ছোট তামিমকে (তানজিদ তামিম) খালি বাদ দেই। কারণ সেখানে তামিম ইকবালের যাওয়ার কথা। শেষ মুহূর্তে গিয়ে সে ওপেন করছে। এখানে গেছে লিটন দাস, শান্ত, সাকিব, মুশফিক,তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মিরাজ। আমি বোলারদের ধরলাম না।’ এ সময় তবে বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের সাফাইও গেয়েছেন বিসিবি সভাপতি। পাপন বলেন, ‘আপনাদের এই জিনিসটা করার আগে একটা কারণ দেখাতে হবে, এই কারণে। কিন্তু আপনারা যে কারণগুলো বলছেন, শান্ত রান করতে পারেনি এটা ভিন্ন ইস্যু। সে আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই, সে রান করে যাচ্ছিল। লিটন দাসের সামর্থ্য আমরা জানি। সাকিবকে বাদ দিত, মুশফিককে বাদ দিত? মানে বাদটা দিত কাকে। এই যে কথাগুলো বলে মানুষ; কিন্তু কেন এটা আর বলে না। কিন্তু সব দোষ নির্বাচকের।’