স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নতুন নামফলক বাফুফেতে

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতীক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরবগাঁথা গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি। পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধকালীন প্রথম ফুটবল দলের জন্ম দিয়েছিল রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশ। ইতিহাসের পাতায় যাদের নাম হয়েছে চিরস্মরণীয়- স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য। ২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি হওয়ার পরের বছরই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নিয়ে অনুষ্ঠান করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের পরই বাফুফে ভবনের ঢোকার পথে একটি নামফলকও তৈরি হয়েছিল। এক যুগের পর সেই নামফলকের পাশেই আরেকটি ফলক তৈরি করেছে বাফুফে। আজ বিজয় দিবসের দিন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কয়েকজনে উপস্থিতিতে সেই ফলক উন্মোচিত হয়। আগের ফলক শুধু বাংলাতেই ছিল, নতুন ফলকে বাংলার সঙ্গে রয়েছে ইংরেজিতেও। বাফুফেতে বিদেশি ফুটবলার, ফিফা-এএফসি’র লোকজন আসে প্রায়ই। তারা যেন বুঝতে পারেন এজন্য ইংরেজিতেও লেখা হয়েছে কীর্তিমানদের নাম। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে খেলোয়াড় ছিলেন ৩৪ জন। এই ৩৪ জনের সঙ্গে নামফলকে নাম রয়েছে কোচ ননী বসাক এবং ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্নার। আজ ফলক উন্মোচনের দিনে এসেছিলেন ম্যানেজার তান্না, সেই দলের খেলোয়াড় আশরাফ আলী, সুরুজ ও আব্দুস সাত্তাররা। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক আসেননি। বিজয় দিবসের দিন নামফলক উন্মোচনের পর বাফুফে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করে। লাল-সবুজ দুই দলে সাবেক ফুটবলাররা একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে। আগে বিজয় দিবসের এই প্রীতি ম্যাচে শেখ মো. আসলাম, হাসানুজ্জামান খান বাবলু ও কায়সার হামিদের মতো তারকারা অংশ নিতেন। এদের অনেকেই এখন এই প্রীতি ম্যাচের দাওয়াত পান না। বাফুফের কমিটিতে থাকা সাবেক অধিনায়ক সত্যজিৎ দাশ রুপু ও ইলিয়াস হোসেনও এদিন খেলায় অংশ নেননি (কাজী সালাউদ্দিনও সাবেক অধিনায়ক- তিনি অবসরের পর আর কখনোই খেলেননি)। আজ অংশ নেয়া প্রীতি ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আলফাজ আহমেদই।