ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মেসিদের কাতারের ঘোর এখনো কাটেনি

মেসিদের কাতারের ঘোর এখনো কাটেনি

এক বছর হয়ে গেল আর্জেন্টিনা তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতেছে। কিন্তু মেসি-ডি মারিয়াদের কথায় মনে হবে কীসের ৩৬৫ দিন; এই তো সেদিনই না ট্রফি হাতে উৎসবটা করেছেন তারা! ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর কাতারে ফ্রান্সকে হারিয়ে আরাধ্যের শিরোপা জিতেছিলেন। এক বছর পরও সেই স্মৃতি যেন চিরসবুজ। কেউ বলছেন, এমন দিনই জীবনের সেরা। কারো চোখে শ্রেষ্ঠ দিনও। আবার কেউ বলছেন, দেশের ইতিহাসের অংশ হতে পেরেই বেশি গর্বিত। পুরো আসরে বল পায়ে দ্যুতি ছড়ানো অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের চোখেও সর্গীয় একটা স্মৃতি। অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে রোমাঞ্চিত অ্যালেক্সিস বলেছেন, ‘রাত হতেই বিভিন্ন বার্তা আসা শুরু হয়। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পরের সকালটা সত্যিই ভিন্ন ছিল। পরিবারের সদস্য, বন্ধুদের থেকে একের পর এক বার্তা পাওয়া শুরু করি। সব কিছু খুব দ্রুতই ঘটে। হ্যাঁ, এটা ঠিক, আমরা বিশ্বকাপে যতটা দারুণ অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে গেলাম, সে হিসেবে এটা কিছুই না। এটা চমৎকার একটা যাত্রা ছিল, কেবল বিশ্বকাপের পর থেকেই নয়, অনেক আগে থেকেই আমাদের এই লড়াই শুরু হয়েছিল। যাই হোক, এই স্মৃতি আমার জীবনটাই বদলে দিয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপ জয়ের আগে ও পরের পৃথিবীটা ছিল একেবারে ব্যতিক্রম।’ দলনেতা লিওনেল মেসির জন্য তো বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আরো বড় প্রাপ্তির। পুরো ক্যারিয়ারে কত কত ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু এর সঙ্গে কোনোটার মিল পান না তিনি। তাই তো বছরটা সারাজীবন মনে রাখতে চাইছেন মেসি, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুন্দর একটা বছর গেল। এই স্মৃতি কখনোই ভোলা যাবে না। জীবনভর এটা মনে থাকবে আমার। সবাইকে এই বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা।’

এদিকে ডি মারিয়াও হয়তো আর বিশ্বকাপে অংশ নেবেন না। সেই হিসেবে বলা যায়, কাতারই ছিল তার শেষ আসর। শেষটা এভাবে রাঙাতে পারলে কার না ভালো লাগে। এক বছর পেরিয়েও সেই উচ্ছ্বাসের রঙে নেই কোনো মলিনতা, ‘এটা এমন একটা দিন, যেদিন আর্জেন্টিনার মানুষের স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। আমি গর্বিত এমন একটা ইতিহাসের অংশ হতে পেরে। সারাজীবন এই স্মৃতি আমি বয়ে বেড়াব। কোনোদিন এই ১৮ ডিসেম্বরকে ভুলতে পারব না। ধন্যবাদ তাদের, যারা আমাদের প্রতিটি ম্যাচেই সমর্থন দিয়েছিল। আসলে তাদের ছাড়া কোনো কিছুই করা সম্ভব ছিল না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত