ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাশিয়াম কার!

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাশিয়াম কার!

দেশে ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অর্ধশতাধিক। অধিকাংশেরই নেই কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যু। ফলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মালিকানাধিন হাতে গোনা কয়েকটি স্থাপনায় খেলা চালায় এই সব ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন। এ নিয়ে অনেক ঝুট ঝামেলাও পোহাতে হয় ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্তাদের। হাল আমলে চরম আকার ধারন করেছে এই ভেন্যু সংকট। যা নিয়ে চলছে কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্ত:র্দ্বন্দ্ব। দেশের সব ক্রীড়া স্থাপনার মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সেই হিসাবে ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন বিল্ডিংয়ের জিমন্যাশিয়ামে খেলা হতো জিমন্যাস্টিক্স, তায়কোয়ান্দো, কুস্তি, কারাতে ও ভারোত্তোলনের। এক ভেন্যুতে পাঁচ খেলাকে কেন্দ্র করেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এখন কারাতে, ভারোত্তালন ও কুস্তি ভেন্যুহীন। আর সেই জিমন্যাশিয়াম নিয়ে কোন্দলে জিমন্যাস্টিক্স ও তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন। গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিমন্যাশিয়ামের অধিকাংশ জায়গায় জিমন্যাস্টিক্সের সরঞ্জামাদি রয়েছে। বাকি অংশটুকু অন্যদের খেলার অনুপযোগি অনেকটাই। তবে জিমন্যাস্টিক্স পেরিয়ে ভেতরে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করা কাঠের গ্যালারি দিয়ে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি একান্ত সহকারী রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত, ক্রীড়া পরিষদের উপ-পরিচালক (ক্রীড়া) তাসলিমা আক্তারসহ অনেকেই পরিদর্শন করছেন জিমন্যাশিয়াম। আগের দিন এই দশা দেখতে যান ভলিবল ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান ও হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারন সম্পদাক আসাদুজ্জামান কোহিনুর। তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানাও ছিলেন তাদের সঙ্গে। রানার কথা, ‘ভেন্যুটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। সবাই মিলেমিশেই ব্যবহার করতে বদ্ধ পরিকর ছিলাম আমরা। অথচ জিমন্যাস্টিক্সের কারণে এখানে খেলতে পারছি না আমরা। তিনশ’ তায়কোয়ান্দোকার অংশগ্রহনে বিজয় দিবসের খেলা দুই দিন ছিল। আমরা জিমন্যাস্টিক্সের অনুশীলনের স্বার্থে একদিনে শেষ করে দিয়েছি। অথচ তারপরও আমাদের অনুশীলনে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। পুরো জিমন্যাশিয়ামের তিনভাগের আড়াইভাগই দখল করে নিয়েছে জিমন্যাস্টিক্স।’ এ বিষয়ে জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান জামিল বলেন, ‘জিমন্যাস্টদের অনুশীলনের জন্য বেশ জায়গার প্রয়োজন। তাছাড়া আমাদের বেশ কিছু সরঞ্জামাদি বিদেশ থেকে এসেছে। অনুশীলন ও সরঞ্জামাদি জিমন্যাশিয়ামে রাখা হয়েছে বিধায় জায়গাও লেগেছে বেশি।’ এই জিমন্যাশিয়াম ছেড়ে আগেই চলে গেছে কারাতে। সম্প্রতি এই ভেন্যু ছেড়ে অন্যত্র কষ্টাভাবে টুর্নামেন্ট চালাচ্ছে ভারোত্তোলন ও কুস্তি।

ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সহসভাপতি উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জিমন্যাশিয়ামের নীচতলা প্রায় পুরোটাই জিমন্যাস্টিক্স দখল করে নিয়েছে। তাই আমরা বেশ ক’বছর ব্যায়ামাগার রুমে প্রতিযোগিতা করেছি। এখন ঢাকার বাইরের যেতে হয় টুর্নামেন্ট করতে।’ তিনি যোগ করেন, ‘লটারির অর্থে ৪২ কোটি টাকা দিয়ে টাওয়ার বানিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ। বেশ ক’টি ফ্লোর খালি পড়ে আছে। ফেডারেশনগুলোকে একটি করে ফ্লোর দিলে ভাল হতো।’ কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান বলেন, ‘খেলতে চাইলেও জিমন্যাশিয়ামে পারিনি। আমরাও বিতাড়িত হয়েছি সেখান থেকে। এখন হ্যান্ডবল কিংবা শেখ রাসেল রোলার স্কেটিংয়ে আমাদের টুর্নামেন্ট করতে হয়। যাযাবর হয়ে গেছি আমরা।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত