প্যারিস অলিম্পিকে ছয় ক্রীড়াবিদের নাম

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্যারিস অলিম্পিক গেমসের জন্য বাংলাদেশের ছয় ক্রীড়াবিদের নাম পেয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। চারটি ডিসিপ্লিনে ছয় ক্রীড়াবিদের ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিওএ। যার মধ্যে গলফ ও শুটিংয়ে দুজন করে এবং আর্চারি ও বক্সিংয়ে একজন করে ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। চার ক্রীড়া ফেডারেশন ইতোমধ্যে বিওএতে তাদের মনোনীত খেলোয়াড়ের নাম পাঠিয়েছে। শুটিং থেকে শায়রা আরেফিন ও রবিউল ইসলাম, গলফ থেকে সিদ্দিকুর রহমান ও জামাল হোসেন, বক্সিং থেকে মো. সেলিম এবং আরচারি থেকে হাকিম আহমেদ রুবেলের নাম দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সিদ্দিক ২০১৬ রিও অলিম্পিকে শীর্ষ র‍্যাংকিংয়ে থাকায় খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। টোকিও অলিম্পিকে রোমান সানা সরাসরি নিজ যোগ্যতায় খেলেছিলেন।

পরবর্তীতে দিয়া সিদ্দিকী ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে খেলেন। তবে সূত্রে জানা গেছে, আর্চারি, বক্সিং, গলফ ও শুটিংয়ের পাঠানো ছয়জনের ওয়াইল্ড কার্ডের আবেদন করা মানে অলিম্পিকে অংশ নিশ্চিত নয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি একটি ত্রিপক্ষীয় কমিশনের মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষণের পর ওয়াইল্ড কার্ড দিয়ে থাকে। এই ছয়জনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ক’জন অলিম্পিকে বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব করবেন সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই ছয়জনের পাশাপাশি আরো ন্যূনতম দুই-তিনজন ক্রীড়াবিদের অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাথলেটিকস ও সাঁতারে ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য বিওএকে আবেদন করতে হয় না। আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন (আইএএএফ) ও আন্তর্জাতিক সাঁতার ফেডারেশন (ফিনা) একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের অধিভুক্ত সংস্থাগুলোকে অবহিত করে। এছাড়া আর্চারি, শুটিংয়ে ওয়াইল্ড কার্ডের বাইরে এখনো অলিম্পিকে কোটা প্লেস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুটিং দল ইন্দোনেশিয়ায় টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে। এই টুর্নামেন্ট থেকে অলিম্পিকে কোটা প্লেসের সুযোগ রয়েছে। তেমনি রোমান-দিয়াদের পথও রুদ্ধ নয়। মার্চে তুরস্কের আনতালিয়ায় অলিম্পিক কোটা প্লেসের এক টুর্নামেন্ট রয়েছে আর্চারির। ওই টুর্নামেন্টে শীর্ষ দুই-তিনের মধ্যে থাকতে পারলে বাংলাদেশি আর্চাররা পুনরায় সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।