গত বিশ্বকাপ থেকেই ভীষণ খারাপ সময় কাটছে ব্রাজিল দলের। ‘হেক্সা’ মিশনে এসে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়। এখন অবধি তাদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী। আগামী বিশ্বকাপের জন্য কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বেও ভালো অবস্থানে নেই পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ছয় ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৭ নম্বরে ব্রাজিল। জয় নেই গত চার ম্যাচে, তার মধ্যে শেষ তিন ম্যাচে হার। চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে কি না আরো বড় সমস্যার মুখে পড়ার হুমকিতে পড়েছে তারা।
আদালতের রায়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রধান এদনালদো রদ্রিগেসকে সরানোর প্রেক্ষিতে বোর্ডকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে ফিফা। গত বছরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সিবিএফ এর প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেন রদ্রিগেস। তবে ওই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গত ৭ ডিসেম্বর রদ্রিগেসকে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেয় রিও ডি জেনেরোর আদালত। একই সঙ্গে তার নিয়োগ দেয়া অন্য কর্মকর্তাদেরও বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সংস্থার প্রধান জোসে পের্দিসকে অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তার অধীনে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও রায়ে বলা হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন রদ্রিগেস; কিন্তু সেখানেও আগের আদালতের রায় বহাল রাখা হয়েছে। এর পরই নড়েচড়ে বসে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থার পাঠানো ওই চিঠি প্রকাশ করেছে একটি সংবাদ সংস্থা। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সিবিএফ-এ বাইরের হস্তক্ষেপ বন্ধ না হলে বোর্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে।
আর তা হলে, ব্রাজিল জাতীয় দল এবং এর কোনো ক্লাব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সিবিএফের মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। যথাযথ উপায়ে সমস্যার সমাধান না হলে, ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ব্রাজিলের ফুটবল। ফলে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় পুরুষ ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়বে তাদের অংশগ্রহণ। এছাড়া বর্তমানে চলছে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব।
বাছাইয়ে সবশেষ টানা তিন ম্যাচ হেরে এবং টানা চার ম্যাচ জয়শূন্য থেকে পয়েন্ট টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে ব্রাজিল; ছয় ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৭। বাছাইয়ে পরবর্তীতে তাদের অংশগ্রহণ এবং মূল পর্বে খেলাও পড়বে অনিশ্চয়তায়। পুরুষ জাতীয় দলের পাশাপাশি দেশটির নারী দল এবং ক্লাব ফুটবলও একই রকম সমস্যায় পড়তে পারে।
