ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুশ্চিন্তায় নারী ফুটবলাররা

দুশ্চিন্তায় নারী ফুটবলাররা

২০০৯ সালে বাফুফে নারী ফুটবল লিগ শুরু হয়েছিল। তবে অল্প দিনের মধ্যে তা থেমে যায়। প্রায় ১০ বছর পর ফের মহিলা লিগ মাঠে গড়িয়েছিল। এতে মেয়েদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। লিগ খেলে তারা লাখ লাখ টাকার পারিশ্রমিক পাবেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা স্বপ্ন বলা যায়। পুরুষ দল গড়তেই অনেক ক্লাব যেখানে হিমশিম খায়, সেখানে আবার নারীদের অর্থ প্রদান- এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছিল দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও সফল ক্লাব বসুন্ধরা কিংস।

ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান চেয়েছিলেন পুরুষের পাশাপাশি মহিলা ফুটবল দল গড়তে। তা তিনি করেও ছিলেন। পুনরায় মহিলা লিগ শুরু করার যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন কিংস ম্যানেজমেন্ট মহিলা লিগে দল গড়ে। ভালো মানের খেলোয়াড়দের নিয়ে সেরা দলই গড়ে কিংস। ১০-১১টি ক্লাবও অংশ নেয়। ভালোভাবেই চলছিল। দর্শকও ভিড়ছিল। মেয়েরাও ছিলেন সন্তুষ্ট। কোনো ম্যাচে পয়েন্ট হারানো ছাড়াই বসুন্ধরা কিংস মহিলা লিগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়। ২, ৩, ৪, ৫ লাখ এমনকি কারো কারো পারিশ্রমিক আরো ওপরে। সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্ডা, আঁখি খাতুন, তহুরা, সানজিদা, শামসুন্নাহাররা দেশ পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। সেই নারী লিগই অন্ধকারে বন্দি। যেখানে টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস লেখার কথা, সেই কিংসই নারী লিগে নাম এন্ট্রি করেনি।

অর্থাৎ দল গড়বে না। কথা হচ্ছে কেন এ সিদ্ধান্ত? জানা গেছে, নারী ফুটবলারদের গোপন বৈঠকের পর কিংস ক্ষুব্ধ হয়ে নারী লিগে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘আমরা খেলব না এটাই সত্য।’ তবে কিংসের ক্ষোভ হচ্ছে মেয়েরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবার কিংসের কাছে বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক দাবি করবে। ৫, ৮, ১৫ এমনকি তা ২০ লাখ টাকার মতো।’ সংসদ নির্বাচনের পর নারী লিগ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নারী ফুটবলারদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত