ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শান্তকে দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়ক করার পক্ষে হাথুরু

শান্তকে দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়ক করার পক্ষে হাথুরু

গেল বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রত্যাশার ছিঁটেফোটাও পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। নানা বিতর্কের পর সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে বিশ্বকাপ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছিল। সে দলের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিলো নাজমুল হোসেন শান্তকে। চোটে পড়ে দুই ম্যাচ খেলেননি সাকিব। তারর অনুপস্থিতিতে দুই ম্যাচে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন শান্ত। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সফরেও অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। তার নেতৃত্বে তাসমান সাগর পাড়ের দেশটিতে প্রথমবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জিতেছে টাইগাররা। ফলে শান্তর নেতৃত্বের পরীক্ষা আপাতত শেষ। তার অধিনায়কত্ব মূল্যায়ন করার পালা চলছে। সামনে কোনো একটা সময়ে আসবে সিদ্ধান্ত। তবে সেই সিদ্ধান্তের আগেই তাকে নিজের ভোট আবারও দিয়ে রাখলেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ কোচের মতে, পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ প্রবলভাবেই দিতে পেরেছেন শান্ত। ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এই তরুণকে লম্বা সময় দায়িত্ব দেওয়া যায় কিনা, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি মন্তব্যে না গেলেও তার পক্ষেই থাকলেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের মতে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো তিন সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু খেলার বাইরে অন্যান্য ব্যস্ততা ও চোটে তাকে সব সময় পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর একদিনও অধিনায়কত্ব করবেন না। সার্বিক বিবেচনায় সাকিবের দিকে না গিয়ে শান্তকেই দায়িত্বে রাখা যায় কিনা এই প্রশ্ন উঠছে। বিশ্বকাপের পর শান্তর নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারায় বাংলাদেশ। পরে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতন জেতে একটি ওয়ানডে ও টি- টোয়েন্টি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচের পর এই নিয়ে প্রশ্নে শান্তর পক্ষেই থাকলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ, ‘আমার মনে হয় তারা বেশ ভালোভাবেই চিন্তা করবে (শান্তকে দীর্ঘমেয়াদী অধিনায়ক করার)। অবশ্যই এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কিন্তু শান্ত যথেষ্ট প্রমাণ রেখেছে তাকে সিরিয়াসলি নেয়ার।’ এবার নিউজিল্যান্ড সফরে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে ছিলেন কেবল মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় ওয়ানডেতে তার তেমন কোন অবদান ছাড়াই বাংলাদেশ পায় প্রথম জয়। টি-টোয়েন্টিতে সিনিয়র হিসেবে পরিচিত সবাইকে ছাড়াই পায় জয়। শান্তর নেতৃত্বে পুরো দলের শরীরী ভাষা ছিলো ইতিবাচক। তবে এরসঙ্গে সিনিয়রদের থাকা, না থাকার কোন সম্পর্ক দেখেন না হাথুরুসিংহে, ‘যদি আমি কিছু বলি, তাহলে নানা জল্পনা তৈরি হবে সত্যি বলতে। সিনিয়রদের এখানে না থাকায় তাদের অ্যাটিচিউডের কোনো সম্পর্ক নাই। আমার মনে হয় তারা তাদের ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চেয়েছে। আমার মনে হয় ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা বেশ ভালো। কারণ তাদের যোগাযোগটা বেশ স্পষ্ট, যেমন আমি বলেছি শান্তর পক্ষ থেকে। তারা জানে তারা যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। আমার মনে হয় এজন্য তাদের মনে কোনো ভয় ছিল না।’ সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এর আগে ভালো করতে দেখা গেছে লিটন দাসকেও। গত বছর ঘরের মাঠে তার নেতৃত্বে ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টেও লিটনের নেতৃত্বে আসে জয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত