অবশেষে বিসিবির বোধদয়

স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হবে বিপিএল

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঘরের মাঠে অতিথিদের ঘায়েল করতে বরাবরই স্পিনিং উইকেট তৈরি করে বাংলাদেশ। যে কারণে কম সমালোচনা হজম করতে হয়নি তাদের। আবার বিদেশ সফরে গিয়ে ভিন্ন ধরনের উইকেটে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে গেল নভেম্বর-ডিসেম্বরে সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দেখা মিলল ভিন্ন ছবি। প্রাণবন্ত উইকেটে হলো দারুণ এক টেস্ট ম্যাচ। প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টেস্ট ম্যাচের কথা মাথায় রেখে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তৈরি করা হয় স্পোর্টিং উইকেট। আর তাতেই বাজিমাত করে স্বাগতিকরা। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফের স্পিন ফাঁদ তৈরি করা হয়। যে ফাঁদে নিজেরাই আটকে পরাজয় বরণ করে। অবশেষে বোধদয় হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পোর্টিং উইকেট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। সংস্থাটির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানিয়েছেন বিপিএলের এবারের আসরে বিশ্বমানের উইকেট বানানো হবে। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএলের এবারের আসর। এরমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এর দামামা। এ আসরের যথাযথ উন্নয়নে নানা ধরণের বৈঠক করছে বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটি। গত বুধবার বিসিবিতে বিভিন্ন ভেন্যুর ম্যানেজার ও কিউরেটরদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সে বৈঠক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিপিএলে এবার ভালোমানের উইকেটের আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান। টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটে দর্শকরা রান দেখতে আসেন জানিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের খেলা। আমরা চাইবো যেন এখানে প্রচুর রান হয়। তবে অবশ্যই ব্যাটারদের দক্ষতাও থাকতে হবে, বোলারদের দক্ষতাও থাকবে হবে। আমরা আগামী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে যে ধরনের উইকেট আইসিসি আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে তৈরি করার চেষ্টা করে, আমরা সেরকম চেষ্টা করব।’

প্রতিকূল আবহাওয়ায় শুরুতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হলেও শেষ পর্যন্ত ভালো উইকেট হবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি, ‘তবে আবহাওয়া একটা কন্ডিশন, এখন যেরকম কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ চলছে তাতে হয়তো শুরুতে আমরা কিছু সমস্যার মুখোমুখি হবো। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে ভালো উইকেট যেটা আগামী বিশ্বকাপ সঙ্গে সমতুল্য রেখে একটা উইকেটই বানানোর কথাই ওদের বলা হয়েছে। যেন আমাদের ব্যাটার যারা খেলবে তারা যেন বিশ্বকাপের জন্য একটা প্রস্তুতি হিসেবে এটাকে ব্যবহার করতে পারে।’ তবে প্রতি বছরই বিপিএল শুরুর আগে এমন আশ্বাসই দিয়ে থাকেন কর্তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানের উইকেটই তৈরি হয়। তাতে প্রশ্ন ওঠে এই সকল ভেন্যুর কিউরেটরদের ক্ষমতা নিয়ে। কিন্তু তারপরও তাদের উপরই আস্থা রাখছে বিসিবি। বিসিবির কিউরেটর পরামর্শক টনি হেমিংয়ের নেতৃত্বেই উইকেট তৈরি হবে বলে জানান বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান। ‘আমার মনে হয় সবার স্কিল আছে। বিসিবি এই মুহূর্তে আমাদের যেহেতু একজন শক্তিশালী পরামর্শক আছেন টনি হেমিং। ও যেভাবে আমাদের কিউরিটেরদের জ্ঞান দিচ্ছে এবং তার যে অভিজ্ঞতা, আমার মনে হয় বাইরে থেকে কাউকে আনার প্রয়োজনীয়তা হবে না। গত বিপিএলেও আমরা ভালো উইকেট পেয়েছি। এবং বেশ রান হয়েছিল। আমি মনে করি যে এটা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব। আমাদের যে দক্ষতা রয়েছে কিউরেটর দলের তাদের দিয়েই ভালো উইকেট দিতে পারব বলে আশা করছি’- বলেন মাহবুব আনাম।